Birbhum News: মোটা টাকায় নিজের সদ্য়োজাত কন্যাসন্তানকে বিক্রি করলেন মা !
Birbhum Child Trafficking: পূর্ব মেদিনীপুরের পর, এবার বীরভূম। কন্য়াসন্তানকে বিক্রির অভিযোগে, মা সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায় ও আবির ইসলাম, বীরভূম: কথায় বলে যার সঙ্গে নাড়ির টান, সেই নারীই হয়ে উঠল নৃশংস ! নিজের গর্ভে ধরা সদ্য়োজাত কন্যাসন্তানকেই বিক্রি করলেন মা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই ভয়াবহ অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের পর, এবার বীরভূমে। (Birbhum) ফের শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কন্য়াসন্তানকে বিক্রির অভিযোগে, মা সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোটা বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে গেল সদ্য়োজাত কন্য়াসন্তান
ফের শিশু বিক্রির অভিযোগ। (Birbhum Child Trafficking) ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে গেল সদ্য়োজাত কন্য়াসন্তান। শিশুর মা সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে লাভপুর থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর,গত ২১ সেপ্টেম্বর লাভপুর থানায় খবর আসে, কুরুন্নাহার গ্রামে এক দম্পতির বাড়িতে এক সদ্য়োজাত শিশু সন্তান এনেছে। খবর পেয়ে বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই পরিবার শিশুকন্য়াকে দত্তক নিয়েছে বলে দাবি করলেও, কোনও কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
দুই মিডলম্য়ানের সূত্র ধরেই শিশুর পরিবারের খোঁজ পায় পুলিশ
পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্তদের জিজ্ঞেস করে উঠে আসে আউশগ্রাম ও সাঁইথিয়ার ২ মিডলম্য়ানের নাম। এই দুই মিডলম্য়ানের সূত্র ধরেই শিশুর পরিবারের খোঁজ পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে, বোলপুরের এক নার্সিংহোমের দুই কর্মীর কাছে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় শিশুকে বিক্রি করেছিল তাঁর মা। অভিযোগ, সেই কর্মীদের থেকেই ৭৫ হাজার টাকায় সদ্য়োজাতকে কেনে লাভপুরের এই পরিবার।
আরও পড়ুন, দিল্লিতে অভিষেক, রাত পেরোলেই কলকাতায় ED-র সমন, জল্পনা তুঙ্গে
কলকাতাতেও এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছিল মায়ের বিরুদ্ধে
সম্প্রতি কলকাতাতেও এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছিল। সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মা-সহ ৫ মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল আনন্দপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল শিশু চুরির চক্র। চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছিল অপহৃত শিশুদের। গতকাল আনন্দপুর থানার পুলিশ জানতে পারে, ২৩ দিনের সদ্যোজাতকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন শিশুর মা। শিশুকে বিক্রির কথা কবুল করেন। তদন্তে নেমে আরও ৪ মহিলার সন্ধান পায় আনন্দপুর থানার পুলিশ। পরে শিশু চুরি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়।