Birbhum: দুবরাজপুর-খয়রাশোলের রাস্তাজুড়ে মরণফাঁদ, বিপজজ্জনক সড়ক নিয়ে ক্ষোভ যাত্রীদের
দুবরাজপুর থেকে খয়রাশোল যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ। ১১ কিলোমিটার এই পথের খয়রাশোল থেকে সারিবাগান মোড় সংলগ্ন সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা দেখলে আঁতকে উঠতে হয়।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বেহাল অবস্থা দুবরাজপুর-খয়রাশোল সড়কের। বড় বড় গর্তে রাস্তা এমনিতেই মরণফাঁদ। তারওপর বর্ষার জল জমলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। প্রতিদিনই এ রাস্তায় প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে, অভিযোগ যাত্রীদের। রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক।
পিচের প্রলেপ উঠেছে আগেই। রাস্তা জুড়ে শুধু বড় বড় গর্ত। তারওপর বৃষ্টিতে জম জমলে, বোঝা দায় হয়, রাস্তা না খাল! হাড়-কঙ্কাল বের হওয়া রাস্তার এই ছবি বীরভূমের।
এটাই দুবরাজপুর থেকে খয়রাশোল যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ। ১১ কিলোমিটার এই পথের খয়রাশোল থেকে সারিবাগান মোড় সংলগ্ন সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা দেখলে আঁতকে উঠতে হয়।
অথচ প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি, হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এ পথে। খারাপ রাস্তায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। খয়রাশোলের নিত্য যাত্রী শঙ্খরূপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করি। উপায় নেই। দুর্ঘটনা রোজের ব্যপার। বৃষ্টি না হলেও এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা বিপজজ্জনক। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।
দুবরাজপুর-খয়রাশোলের এই রাস্তায় পড়ে চার-চারটি থানা। রয়েছে খয়রাশোল ব্লক অফিসের পাশাপাশি দোকান-বাজার। এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সত্ত্বেও হেলদোল নেই প্রশাসনের, অভিযোগ যাত্রীদের।
আরেক নিত্যযাত্রী তারকনাথ মণ্ডল জানাচ্ছেন, জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ছয়-সাত মাস আগে শেষ রাস্তার কাজ হয়েছে। প্রশাসন কেন কিছু করছে না জানি না। দেখতে পাচ্ছে সবই। দুর্ঘটনা রোজের হয়। ভয় করে।
তবে বীরভূমের জেলাশাসক জানিয়েছেন,দিন পনেরো আগেই তিনি রাস্তার অবস্থা দেখে এসেছেন। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা মেরামতি হবে। আশ্বাসই সার হবে, না কি আদৌ হাল ফিরবে রাস্তার? অপেক্ষায় আম-জনতা।
আরও পড়ুন: নার্সিংহোমে বিজেপির পরাজিত প্রার্থীর মৃত্যু, সিবিআই তদন্তের দাবি গেরুয়া শিবিরের
আরও পড়ুন: Child Death: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আরও ১ শিশুর মৃত্যু
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের আবহেই বঙ্গে ভোট, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ