Birbhum: বীরভূমের লোকপুরে বেআইনি কয়লা মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২ জন
Birbhum News: বীরভূমের (birbhum) লোকপুর থানার অন্তর্গত নওপাড়া গ্রামের বেআইনি মজুত কয়লা কাণ্ডের ঘটনায় সেখ আহমেদ ও সঞ্জীব খাঁ নামে দুজনকে গ্রেফতার করল লোকপুর থানার পুলিশ।
এরশাদ আলম,বীরভূম: কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার ২। বীরভূমের (birbhum) লোকপুর থানার অন্তর্গত নওপাড়া গ্রামের বেআইনি মজুত কয়লা কাণ্ডের ঘটনায় সেখ আহমেদ ও সঞ্জীব খাঁ নামে দুজনকে গ্রেফতার করল লোকপুর থানার পুলিশ। এই পর্যন্ত গ্রেফতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ জন। আজ তাঁদের দুজনকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, গতকাল বীরভূম জেলার লোকপুর থানার অন্তর্গত নওপাড়াতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে আবারও অবৈধ কাঁচা কয়লা বাজেয়াপ্ত করল বীরভূম জেলা পুলিশ। ২৬ ডাম্পার ও ১৪ ট্রাক্টর আনুমানিক ৫৫০ মেট্রিক টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছ। এদিন এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বোলপুর সুরজিত কুমার দে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার, ডিএসপি ডিএণ্ডটি, লোকপুর, কাঁকরতলা, দুবরাজপুর ও খয়রাশোল থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। পাশাপাশি রাত্রে পুলিস অভিযানে নামে এই দুজনকে গ্রেফতার করে।
বেআইনিভাবে কয়লা মজুত ঠেকাতে পুলিশি অভিযান ঘিরে বীরভূমের লোকপুরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বেঁধেছিল ২ দিন আগেই। কয়লা পাচারকারীরা বাধা দিলে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। আহত হন দুই থানার ওসি। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলেও, অস্বীকার করেছেন বীরভূমের এসপি।
এদিকে, ভালো মানের কয়লা (Coal) আসছে না। প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে। এমন খবর এসেছিল ২ দিন আগেই। তাই নিয়ে মালদায় ইটভাটা শ্রমিকদের বিক্ষোভ নেমে এসেছিল রাস্তায়। বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ইটভাটা মালিকরাও। তাঁদের অভিযোগ, জেলায় গত ৩ মাস ধরে অসম ও মেঘালয় থেকে ইট পোড়ানোর কয়লা আসছে না। তার জেরে কার্যত বন্ধ হতে বসেছে উৎপাদন। বাড়ছে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ।
হরিশ্চন্দ্রপুরের ইটভাটার মালিক গোলাম মোর্তাজা বলেছিলেন, “অসমের কয়লা ভাল। রানিগঞ্জের কয়লা দিয়ে ভাল করে ইট পোড়ানো যায় না। অসম থেকে কয়লা না এলে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাবে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে মোট ১৩০টি ইটভাটা রয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক সেখানে কাজ করেন। তাঁদের বক্তব্য, এরাজ্যের রানিগঞ্জ ও আসানসোলের কয়লার দাম বেশি অথচ তাতে ভাল করে ইট পোড়ানো যায় না। ইটের গুণগত মান ভাল না হলে তা কম দামে বিক্রি করতে হয়। তাই ভাল মানের ইট তৈরির জন্য অসম ও মেঘালয়ের কয়লার ওপর নির্ভরশীল তাঁরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের ইটভাটার শ্রমিক বাবর আলি, “ইট ভাটায় কাজ করে সংসার চলে। ইটভাটা বন্ধ হওয়ায় আমাদের ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হবে।’’