Market Close For Corona: কোভিড বিধিভঙ্গ এলাকায়, একবেলা বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত রামপুরহাটে
Covid Rule Break in Market: সকাল থেকে রামপুরহাট শহরের বিভিন্ন বাজারে কোভিড বিধিভঙ্গের ছবি। ভাঁড়শালা, হাটতলা সবজি বাজারে মাস্ক ছাড়াই চলছে বেচাকেনা।
এরশাদ আলম, বীরভূম: করোনা (Coronavirus) রুখতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের সমস্ত দোকান (Shop), বাজার (Market) একবেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামপুরহাট (Rampurhat) পুরসভা। দুপুর ৩টে থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দোকানপাট। তার আগে সকাল থেকে রামপুরহাট শহরের বিভিন্ন বাজারে কোভিড (Covid-19) বিধিভঙ্গের ছবি। ভাঁড়শালা, হাটতলা সবজি বাজারে মাস্ক ছাড়াই চলছে বেচাকেনা। কেউ দাঁত ব্যথার অজুহাত দিচ্ছেন। কেউ মাস্ক আনতে ভুলে গেছেন বলে দাবি করেছেন। সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় রামপুরহাটবাসী। পুলিশের নজরদারি চোখে পড়েনি।
করোনা মোকাবিলায় ক্যানিংয়ে (Canning) আজ থেকে টানা চারদিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্লক প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতি। এরপরেও খোলা ছিল বেশ কিছু দোকান। খবর পেয়ে পথে নামেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক পরেশরাম দাস। বিধায়ক নিজেই সেই সমস্ত দোকানের শাটার নামিয়ে দেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আজ ও কাল বন্ধ বারুইপুর ব্লকের ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত দোকান, বাজার। সকাল থেকে সব দোকান বন্ধ। খোলেনি বাজার।
করোনা মোকাবিলায় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় চারদিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতি-শুক্র বন্ধ ছিল পুর-এলাকার সমস্ত বাজার, দোকান। আজ ও কালও বন্ধ থাকবে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার সমস্ত বাজার। এদিন পুরসভার তরফে বাজারগুলিকে স্যানিটাইজ করা হয়।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশে বেলাগাম সংক্রমণ। গতকালের তুলনায় সাড়ে ১২ শতাংশ বেড়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা চারশোর বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২৭। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ ৭ হাজার ৭২৭ জন। এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৩। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৪১০ জন। মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি ১ হাজার ২১৬ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। দিল্লিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রাজস্থান। সে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৯।