Birbhum: অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা, দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির
Birbhum News: প্রথম কিস্তির পর আর কোনও টাকাই ঢোকেনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে! তার ওপর আবার বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকা ঠিকভাবে ব্যবহার না করার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।
আবীর ইসলাম, বীরভূম: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির অর্থ বরাদ্দ হলেও অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা। বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি (BJP)। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ইলামবাজারের (Ilambazar) বিডিও।
দু’বছর ধরে ভিত তৈরির পরেও, গাঁথা হয়নি নতুন কোনও ইট। পড়ে থেকে আগাছায় ভরে উঠেছে জমি। টাকার অভাবে অধরা রয়ে গেছে পাকা বাড়ির স্বপ্ন! এখনও কাঁচা বাড়িতেই দিন কাটছে বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা বোধন মূর্মুর।
আবাস যোজনার টাকা ঢুকছে না অ্যাকাউন্টে
পেশায় দিনমজুর বোধনের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও, প্রথম কিস্তির পর আর কোনও টাকাই ঢোকেনি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে! তার ওপর আবার বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকা, ঠিকভাবে ব্যবহার না করার জন্য, ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বীরভূমের এই বাসিন্দা জানিয়েছেন, ''প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির প্রথম কিস্তির ৭০০০ টাকা পেয়েছি। তারপর থেকে আর কোনও টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। এরমধ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে আমায় ডেকে পাঠিয়ে বলেছে বাড়ি না করলে টাকা ফেরত দিতে হবে।''
বোধন মুর্মূর মতো, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন ইলামবাজারের আরেক বাসিন্দাও। অভিযােগকারীর নাম লক্ষ্মীনন্দন হাঁসদা। স্থানীয় এই বাসিন্দা জানিয়েছেন, ''প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সব টাকা পাইনি। ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও ১ লক্ষ ২০ হাজার পেয়েছি। বাকি টাকা কোথায় গেল? পঞ্চায়েত টাকা নিয়ে নয়ছয় করছে।''
গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের বিজেপি সভাপতি সুখদেব বিশ্বাস জানিয়েছেন, ''প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে তৃণমূল দুর্নীতি করছে। প্রকল্পের টাকা নিজেরা পকেটে ঢোকাচ্ছে।''
অন্যদিকে তাঁদের দিকে ওঠা অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই বলেই জানিয়েছে এলাকার তৃণমূল সভাপতি। সেই ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফজজুল রহমান বলেন, ''টাকা বরাদ্দ হলে নিশ্চয়ই সবাই টাকা পাবে। বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে। ওরাই তো ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখছে।''
বিতর্কের মুখে তদন্ত করে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ইলামবাজারের বিডিও জসীমুদ্দিন মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, ''অভিযোগ পেয়েছি, একটা টিম গঠন করে তদন্ত হবে। অনেকে এমনও আছে যাঁরা টাকা পেয়েও বাড়ি করছে না। সেবিষয়টি নিয়েও তদন্ত হবে।''
যে মানুষগুলোর মাথায় পাকা ছাদ তৈরির উদ্দেশে সরকারি প্রকল্প, সেই সুবিধা কি শেষমেশ পাবেন তাঁরা? সেটাই দেখার।