Siuri : জেলে অনুব্রত, সিউড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের ২ কাউন্সিলর ! শুরু জল্পনা
TMC Councilors and Suvendu Adhikari : সিউড়ির বামনী কালীতলায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা যায় সিউড়ির দুই তৃণমূল কাউন্সিলরকে
সিউড়ি (বীরভূম) : জেলায় দলের সংগঠন মজবুত রাখার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সেই অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal) এখন জেলে। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে দেখা গেল তৃণমূলের ২ কাউন্সিলরকে। সিউড়ির বামনী কালীতলায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা যায় সিউড়ির দুই তৃণমূল কাউন্সিলরকে (TMC Councillors)। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও কুন্দন দে। সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দু।
দুই তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে জল্পনা-
যদিও বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলে আছি এবং থাকব। বিতর্কের কোনও ব্যাপার নেই। পার্টিও আমাকে ফোন করেনি।
এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর কুন্দন দে-র কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বোলপুরে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কারা এসে কথা বলছেন, কী কথা বলছেন, সেটা তাঁদেরই জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমরা বিজেপি, আমাদের চিন্তন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যাঁরা মনে করবেন এই গঙ্গায় নামার প্রয়োজন আছেন, স্নান করার প্রয়োজন আছে, তাঁরা স্নান করবেন। আমরা আমাদের কাজ করছি। তৃণমূল ভাববে, তারা কাদের নিয়ে ঘর করছে। স্বাভাবিকভাবেই, যা ঘটনা ঘটছে দেখতে থাকুন। সময়ের অপেক্ষা করুন।"
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে, শুভেন্দু-গড়ে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির ২ নেতা। পদত্যাগীদের অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা বিজেপি সভাপতি। ১২ অক্টোবর দলবিরোধী কাজের জন্য এই দুই নেতাকে শোকজ করেছিল জেলা নেতৃত্ব। শোকজের উত্তর দেওয়ার আগেই ইস্তফা দিলেন তাঁরা। বিজেপিতে আদি-নব্যের লড়াইয়ের অভিযোগ তুলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
পদত্যাগী বিজেপি নেতা বটকৃষ্ণ দাস বলেন, “আমাকে শোকজ করেছে। তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নন্দীগ্রামে আমরা জিতিয়েছি। সভাপতি নিজের মতো কমিটি তৈরি। আমাদের গুরুত্ব দেয় না।’’
অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুই নেতাকেই যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিবর্তন জেলা ও রাজ্য কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে করা হয়েছে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।’’
আরও পড়ুন ; পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু-গড়ে বিজেপির ধাক্কা, ইস্তফা দুই নেতার