Poush Mela 2021: 'বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জল, বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে পৌষমেলায় আপত্তি নেই,' জানাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট
মেলার আয়োজন করতে চেয়ে ২২ নভেম্বর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল পৌষমেলা Poush Mela 2021)।
বীরভূম: বিশ্বভারতী (Viswabharati) কর্তৃপক্ষ জল, বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে পৌষমেলা (Poush Mela 2021) করতে আপত্তি নেই। বোলপুর পুরসভার (Bolpur Municipality) চিঠির উত্তরে জানাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। মেলার আয়োজন করতে চেয়ে ২২ নভেম্বর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল পৌষমেলা Poush Mela 2021)। এবার করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে রীতি মেনে ছোট করে হলেও মেলা হোক চাইছেন আশ্রমিকরা। তবে এখনও বিশ্বভারতীর তরফে কোনও উত্তর মেলেনি বলেই জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক পর্ণা ঘোষ।
উল্লেখ্য সপ্তাহখানের আগেই পৌষমেলা (Poush Mela)-র আয়োজন করতে চেয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কাছে আবেদন জানায় বোলপুর পুরসভা। পূর্বপল্লী মাঠে পৌষ মেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতী বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট (Santiniketan Trust)-এর কাছে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি যায় উপাচার্য এবং ট্রাস্টিদের কাছেও। জানানো হয় বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলা না করতে দেওয়া হলে, সেক্ষেত্রে বিকল্প স্থানে মেলার ব্যবস্থা করবে পুরসভা।
উল্লেখ্য় ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati)। করোনা আবহে দীর্ঘ দেড় বছর পর চালু হয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি পাঠ্যক্রমের ক্লাস। কোভিড (Covid19) বিধি মেনেই পাঠ নিতে হল পড়ুয়াদের। তবে হস্টেল বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের অনেককে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) প্রোক্টরকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে গত ১৬ নভেম্বর। সে সময় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) খোলেনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তখন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে পয়লা ডিসেম্বর। সেইমতো বুধবার পঠনপাঠনের জন্য খুলল বিশ্বভারতী।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, তবে শুধু স্নাতক (Under Graduate) ও স্নাতকোত্তরের (Post Graduate) শেষ সিমেস্টার এবং এমফিল-এর (M Phil) পড়ুয়াদের ক্লাস হবে। এঁদের মধ্যে যে পড়ুয়ারা করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নিয়েছেন, তাঁরাই ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। ক্লাসে এক বেঞ্চে ২ জন বসতে পারবেন। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক।