Birbhum Weather: পৌষমেলার আগে শীত কমবে বীরভূমে, ঘুরতে যাওয়ার পক্ষে কতটা অনুকূল আবহাওয়া?
Birbhum Weather Update: দেখে নিন শনিবার কেমন থাকবে বীরভূমের আবহাওয়া?
বীরভূম: ছুটির দিনে আংশিক মেঘলা থাকবে বীরভূমের আকাশ। শীতের আমেজ তাতে কমবে না বাড়বে? ডিসেম্বরের শুরুতে কতটা শীতের আমেজ থাকবে লাল মাটির দেশে? কতটাই না নামবে তাপমাত্রা? বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কি? দেখে নিন শনিবার কেমন থাকবে বীরভূমের আবহাওয়া?
আজ সারাদিন আংশিক মেঘলা থাকবে বীরভূমের আকাশ। বেলার দিকে মেঘ কাটিয়ে রোদ উঠতে পারে কিছু জায়গায় তবে তা হালকা। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। রাতের দিকে তাপমাত্রা নামতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। আকাশে মেঘ থাকার ফলে অনুভূত হতে পারে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকতে পারে ৮৩ শতাংশের আশেপাশে। সারাদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও রাতের দিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বীরভূম।
বীরভূমের ভৌগলিক অবস্থান (Birbhum Geographical Location): বীরভূম, বর্ধমান বিভাগের উত্তরতম জেলা। আকারে এই জেলা ত্রিকোণ, যার নিম্নস্থ বাহুটি তৈরি করেছে অজয় নদী (Ajay River)। বীরভূমের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। জেলাটির পশ্চিম দিকে প্রাকৃতিকভাবে পাথুরে গঠনে তৈরি হয়েছে মামা ভাগ্নে পাহাড় যা দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের সন্নিকটে অবস্থিত। বীরভূমের পশ্চিমাংশ অতীতে বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। বীরভূমকে বলা হয় রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় কিছুটা আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির (Chhotanagpur) অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।
আপেক্ষিক জলবায়ু (Birbhum Climate): বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু (Climate) শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির। পূর্বাংশের জলবায়ু তুলনামূলক মৃদু। গ্রীষ্মে (Summer) তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে (Winter) আবার ১০º সেলসিয়াসের নিচেও নামে পারদ। সাধারণত, মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতল আবহাওয়া থাকে। জেলার পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষায় রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের (Annual Rainfall) পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার।
বীরভূমের আজকের আবহাওয়া (Birbhum Today Weather) : আজ সারাদিন আংশিক মেঘলা থাকবে বীরভূমের আকাশ। বেলার দিকে মেঘ কাটিয়ে রোদ উঠতে পারে কিছু জায়গায় তবে তা হালকা। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। রাতের দিকে তাপমাত্রা নামতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। আকাশে মেঘ থাকার ফলে অনুভূত হতে পারে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
সূর্যোদয় (Sunrise) - সকাল ০৬.০৫
সূর্যাস্ত (Sunset) - বিকেল ০৪.৫১
বঙ্গের আজকের আবহাওয়া ( West Bengal Weather): সেই অর্থে বৃষ্টির কথা এখনও বলা নেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে। তবে তাপমাত্রার গতিপ্রকৃতি দেখে এটা স্পষ্ট, যে দক্ষিণবঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে শীত। যদিও আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল-সন্ধ্যায় হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, কলকাতায় বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। এসবের অনেকটাই অবশ্য় নির্ভর করছে মিগজাউমের গতিপ্রকৃতির উপর। রবিবারই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড়টির। আপাতত, ল্যান্ড ফলের নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, বিভিন্ন আবহাওয়ার মডেলের মতে, সম্ভাবনা ওড়িশা বা অন্ধ্র উপকূলের দিকেই বেশি। মনে করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধপ্রদেশ উপকূলে বিজয়ওয়াড়া অথবা ওড়িশা উপকূলের ভুবনেশ্বরের মাঝামাঝি কোথাও ল্যান্ডফল করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় মৎস্যজীবীদের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আন্দামান সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরেও বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Jaya Ahsan Exclusive: সেটে মোমো বানাতেন পঙ্কজ, জয়ার ডায়েটে থাকত নলেন গুড়ের রসগোল্লা