Anubrata Mondal Case Update : অনুব্রতর চালকলের সঙ্গে রাজ্যের রেশন দফতরের যোগ? চাঞ্চল্যকর দাবি সূত্রের
সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর বোলপুরের ভোলে ব্যোম ও সিউড়ির একটি রাইস মিল থেকে রেশন দফতরে চাল যেত।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : শুক্রবার বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দেয় CBI। এই রাইস মিলের মালিকানা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ( Anubrata Mondal ) প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal ) নামে। এই রাইস মিলে ( Rice Mill ) ঢুকতে প্রথমেই বাধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তারপর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেই চলেছে বীরভূমের এই হেভিওয়েট নেতার পরিবারের মালিকানাভুক্ত এই চালকল থেকে।
রেশন দফতরের যোগ?
শনিবার সামনে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য । অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলের সঙ্গে রাজ্যের গণবণ্টন দফতর বা রেশন দফতরের যোগ নাকি সামনে এসেছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। শুক্রবার ভোলে ব্যোম চাল কলে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার দুই আধিকারিক। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর বোলপুরের ভোলে ব্যোম ও সিউড়ির একটি রাইস মিল থেকে রেশন দফতরে চাল যেত।
একাধিক ডাম্পারের হদিশ
এই সংক্রান্ত তথ্য মেলায় শুক্রবার অভিযানে যান এফসিআই আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে সব নিয়ম মেনে খাদ্য দফতরে চাল পাঠানো হত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অনুব্রতর চাল কলের নামে একাধিক ডাম্পারের হদিশ মিলেছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের নামে কেনা হয়েছিল বেশ কয়েকটি ডাম্পার। দুর্গাপুরের একটি শো রুম থেকে মোট ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার গাড়ি কেনা হয়েছিল। এর জন্য গত দুটি অর্থ বর্ষে মোট ২৮ লক্ষ টাকা জিএসটি দিয়েছিলেন অনুব্রত।
এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অন্যতম ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির এক গৃহকর্মী! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রে। এমনকি মণ্ডল পরিবারের নামে থাকা দুটি কোম্পানির ঠিকানা ভোলে ব্যোম রাইস মিল হলেও, সেখানে মিলল না সেই সংক্রান্ত কোনও নথি! তাহলে কি ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হচ্ছিল, উঠছে প্রশ্ন। CBI’র অনুমান কালিকাপুরে হারাধন মণ্ডল রোডের এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলই গরুপাচার তদন্তের গেমচেঞ্জার হতে পারে! সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘনিষ্ঠদের নামে অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও রয়েছে ফার্ম হাউস, জমি, রাইস মিল। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর আয়ের উত্স কী, তা জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত।