Rampurhat Violence : ৩ মিনিটের রাস্তা পৌঁছতে পুলিশের আধঘণ্টা লাগল কেন, রামপুরহাটের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন
Rampurhat Violence Update : প্রশ্ন উঠছে, যে রাস্তা পেরোতে আমাদের তিন মিনিটের কম সময় লাগল, আগুন লাগার খবর পেয়েও, সেখানে যেতে পুলিশের আধঘণ্টা লাগল কেন?
সন্দীপ সরকার ও আবীর দত্ত, বীরভূম : রামপুরহাটের (rampurhat) বগটুইয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা আগেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এবার রহস্য তৈরি হল দমকলের ভূমিকা নিয়েও। এই ঘটনায় রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর ধ্রুবজ্যোতি দত্তর স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে FIR করা হয়। তার ভিত্তিতেই এখন তদন্ত করছে CBI। FIR’এ বলা হয়েছে, ২১ মার্চ রাত আটটা পঞ্চাশে পুলিশ ভাদু শেখের (Bhadu Sheikh) খুনের জায়গায় পৌঁছোয়।
ন’টা পঁয়তিরিশে রামপুরহাট থানার ডিউটি অফিসার রমেশ সাহা জানান, বগটুই গ্রামে কয়েকটা বাড়িতে আগুন লেগেছে। আধঘণ্টা পর, রাত দশটা পাঁচে ভাদু শেখের খুনের জায়গা থেকে পুলিশ বগটুই গ্রামে পৌঁছোয়। FIR’এ এই বলা হয়েছে, ভাদু শেখের খুনের জায়গা থেকে বগটুই গ্রামের দূরত্ব এক কিলোমিটার। এইটুকু দূরত্ব যেতে কতটা সময় লাগতে পারে, এখানেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, যে রাস্তা পেরোতে আমাদের তিন মিনিটের কম সময় লাগল, আগুন লাগার খবর পেয়েও, সেখানে যেতে পুলিশের আধঘণ্টা লাগল কেন? সিবিআই কি এই রহস্যের কিনারা করতে পারবে?
আরও পড়ুন :
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও দিকে দিকে লাল ঝাণ্ডা আর স্লোগান, অবরোধ জেলায় জেলায়
অন্যদিকে দমকলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রামপুরহাটকাণ্ডে পুলিশের পর দমকলের ভূমিকা নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য। গ্রামবাসীদের দাবি, সেই রাতে সাড়ে ন’টা নাগাদ সোনা শেখের বাড়িতে আগুন লাগে। অথচ, রাত দশটা পঁচিশে গ্রামে পৌঁছনো দমকলের দাবি, তারা সোনা শেখের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেননি। এদিকে, সেই সোনা শেখের বাড়ি থেকেই সাতজনের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয় !
FIR অনুযায়ী, ঘটনার দিন
- গ্রামে পৌঁছে পুলিশ অফিসাররা থানায় ডিউটি অফিসারকে বলেন দমকলকে খবর দিতে।
- ১০.২৫’এ দমকলের দু’টো ইঞ্জিন এসে নেভানোর কাজ শুরু করে।
- যদিও দমকলের একটি সূত্রের দাবি, পুলিশ তাদের ফোন করেনি।
- রাত দশটা তেরোয় ফোন করে আগুন লাগার খবর দেন এক গ্রামবাসী।
দমকলের একটি সূত্রের দাবি,
- প্রথমে তারা বগটুই গ্রামে ঢোকার মুখে নাজিমা বিবির বাড়ির আগুন নেভায়।
- তারপর ২০০ মিটার দূরে ফটিক শেখের বাড়িতে আগুন নেভায়।
এই দু’টো বাড়ির মধ্যেই পড়ে সোনা শেখের বাড়ি। যেখান থেকে সাতজনের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অর্থাৎ সোনা শেখের বাড়ির সামনে দিয়ে দমকল দু’বার যাতায়াত করে। কিন্তু, দমকলের একটি সূত্রের দাবি, সেই রাতে তারা না কি সোনা শেখের বাড়িতে আগুন জ্বলতেই দেখেনি!