Birbhum News: পদযাত্রায় যোগ দেওয়া জন্য MTS-দের চাপ! কাঠগড়ায় খোদ উপাচার্য
Bidyut Chakraborty: বিশ্বভারতীর মাল্টি টাস্কিং স্টাফ বা MTS-দেরকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল খোদ উপাচার্যর বিরুদ্ধে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: তাঁর সর্মথনে পদযাত্রায় যোগ দেওয়া জন্য বিশ্বভারতীর ( Visva Bharati University) MTS-দেরকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ উপাচার্যর (Vice-Chancellor ) বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের দাবি, এনিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিতেই তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও মন্তব্য করতে চননি বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অভিযোগ ঠিক নয়।
চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ উপাচার্যর বিরুদ্ধে: উপাচার্যর সমর্থনে করতে হবে মিছিল। দাবি জানাতে হবে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এক্সটেনশন দেওয়া হোক। বিশ্বভারতীর মাল্টি টাস্কিং স্টাফ বা MTS-দেরকে এমনই চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল খোদ উপাচার্যর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীতে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ, ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জানানোয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেতন। বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য মাল্টি টাস্কিং স্টাফ।
সূত্রের খবর, আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। তার আগে নিজের সর্মথনে কর্মী, অধ্যাপকদের নিয়ে পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। যেখানে দাবি জানানো হবে, তাঁকে উপাচার্য পদে এক্সটেনশন দেওয়া হোক। MTS-দের দাবি, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। যেখানে বলা হয়েছে, জয়েন করার পর থেকে কাজের বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ অনুষ্ঠান থেকে উপাচার্য ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছেন। নিজের সমর্থনে যে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সেই মিছিলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
তবে ক্যামেরার সামনে এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি MTS-রা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে অধ্যাপকদের সংগঠন। অধ্যাপকদের সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “উপাচার্যের ডাকে এখন কেউ আসেন না। তাই এমটিএস কর্মীদের বাধ্যা করা হচ্ছে তার সর্মথনে পদ যাত্রা করার জন্য। এমনকি তাদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে। এটা ধিক্কার জানানোর মতো ঘটনা।’’
নাম ফলক নিয়ে বিতর্কের মধ্যে নতুন বিতর্কে সরগরম বিশ্বভারতী। এ বিষয়ে ফোন করা হলে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানান বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতী সূত্রে দাবি, MTS-দের অভিযোগ ঠিক নয়। নতুন নিয়োগ হয়েছে, তাই বেতন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari:'রেশন বণ্টন দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়ামাত্র', কাদের নিশানায় রাখলেন শুভেন্দু ?