Rampurhat Investigation: 'পশ্চিমবঙ্গ আর থাকার মতো নেই' রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় কান্না রূপার
Rampurhat Fire: রামপুরহাটের হত্যালীলা প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় কেঁদে ফেললেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রামপুরহাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
নয়াদিল্লি: রামপুরহাকাণ্ডের জের গিয়ে পৌঁছল রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha)। রামপুরহাটের হত্যালীলা প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় কেঁদে ফেললেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রামপুরহাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতির শাসন চাই। রাজ্যে গণহত্যা চলছে। মানুষ ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'এই রাজ্য আর থাকার মতো নেই।' সাংসদ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে মানুষ কথা বলতে পারে না। সরকার খুনিদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। আর কোনও রাজ্যে সরকার নির্বাচনে জেতার পর খুন করে না। আমরা মানুষ, পাষাণ হৃদয় রাজনীতি করি না।'
বিধানসভাতেও আঁচ:
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে এদিন বিধানসভাতেও (assembly) আঁচ পড়ে। বিধানসভা চলাকালীন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন তাঁরা। পরে ওয়াক আউট করে বিধানসভার বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (bjp) বিধায়করা।
সিবিআই তদন্ত:
এদিনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta highcourt)। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, ‘রাজ্য আর কোনও তদন্ত করবে না। ধৃতদের সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে। সিবিআই-কে ৭ এপ্রিলের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।' বিচারের স্বার্থে, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এই নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে। আদালত আরও বলেছে, ‘সাক্ষী ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা জজের সঙ্গে আলোচনা করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।’
রামপুরহাট কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে শনিবারই বগটুই গ্রামে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল (central forensic team)। কীভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল, কী ধরনের দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল, খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। অন্যদিকে, রামপুরহাট (Rampurhat Fire) হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শুক্রবারই বগটুইতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই গ্রেফতার হয় আনারুল।
আরও পড়ুন: কীভাবে লাগল আগুন? পরীক্ষা করতে বগটুই গ্রামে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল