Bird Flu: পাঁচ বছর পর ফিরল বার্ড ফ্লু আতঙ্ক, আক্রান্ত বাংলার এক শিশু, WHO-র রিপোর্টেও উল্লেখ
Bird Flu in West Bengal: সর্দি, কাশি এবং পেট ব্যথা নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি ওই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলকাতা: মাঝে পাঁচ বছরের বিরতি। আবারও দেশে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ফিরল। পশ্চিমবঙ্গেই চার বছরের এক শিশু বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হল। অস্ট্রেলিয়া থেকে কলকাতায় ফেরে আরও এক শিশুর শরীরে বার্ড ফ্লু-র হদিশ মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টেও এর উল্লেখ উঠে এসেছে। গত ২২ মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে WHO-কে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। (Bird Flu)
সর্দি, কাশি এবং পেট ব্যথা নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি ওই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ১ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিশুকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে যায় শিশুটি। কিন্তু ফের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে, ৩ মার্চ সরকারি হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। (Bird Flu in West Bengal)
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন গত ২৬ এপ্রিল পুণের ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে শিশুটির সংক্রমণের নমুনা পাঠানো হয়, তাতেই বার্ড ফ্লু হয়েছে বলে ধরা পড়ে। এর পর রাজ্য সরকারের তরফে একটি অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়। ওই কমিটে যে রিপোর্ট দেয়, সেই অনুযায়ী, স্থানীয় একটি পোলট্রির সংস্পর্শে এসে শিশুটি বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হয় বলে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: School Timings Change: তাপপ্রবাহের প্রকোপ অব্যাহত, স্কুলের সময় বদলের সুপারিশ রাজ্যের
WHO-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রামক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলির মধ্যে বার্ড ফ্লু অন্যতম। হাঁস-মুরগির পোলট্রি থেকে এই রোগ ছড়ায় কিছু এলাকা। তাই আগামী দিনে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত শিশুটির শরীরে H9N2 ভাইরাসের হদিশ মিলেছে, যা বার্ড ফ্লু রোগের জন্য দায়ী। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটের যন্ত্রণা ছিল শিশুটির। রোগ দেরিতে ধরা পড়ে। তিন মাস পর শিশুটি ছাড়া পায় হাসপাতাল থেকে। WHO-র এই রিপোর্ট নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্র।
মূলত এক পশুর থেকে অন্য পশুর শরীরে ছড়িয়ে পড়ে বার্ড ফ্লু। আক্রান্ত পশু-পাখির সংস্পর্শে এলে মানুষের শরীরেও H9N2 ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। বার্ড ফ্লু-র উপসর্গ হিসেবে কনজাঙ্কটিভাইটিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সিম্পটমস, এনসেফালাইটিস, এনসেফালোপ্যাথিকে চিহ্নিত করেছে WHO. কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতীও হতে পারে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
২০১৯ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার্ড ফ্লু আক্রান্তের হদিশ মিলল ভারতে। এমনিতে H9N2 ভাইরাসের প্রকোপে হালকা অসুস্থতা দেখা দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত সংক্রামক বলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমেরিকার কলোরাডো, ওহায়ো, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেক্সাসেও বার্ড ফ্লু-র প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেখানে গবাদি পশুর শরীরেও ধরা পড়েছে রোগের ভাইরাস।