South 24 Pargana: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত যুবক
South 24 Pargana: পথচলতি মানুষ ও আশেপাশের লোক জনেরা প্রীতম কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জয়ন্ত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত গোবড়ার মোড়ের কাছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ২২ বছর বয়সি প্রীতম খামারু গতকাল অর্থাৎ শনিবার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। কিন্তু গোবড়ার মোরে কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেলটি নিয়ে প্রীতম বৈদ্যুতিন স্তম্ভে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। পথচলতি মানুষ ও আশেপাশের লোক জনেরা প্রীতম কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রীতমের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত গাববেড়িয়ার খিরিজতলায়। শ্বশুর বাড়িও সংশ্লিষ্ট থানা এলাকারই গাববেড়িয়ার হরির দোকানের কাছে।
এদিকে গতকালই, শহরে সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুটার আরোহীর। সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গড়িয়া স্টেশন থেকে বাগবাজারগামী বেসরকারি বাসটি বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় স্কুটারে ধাক্কা মারে। রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় স্কুটার আরোহীকে পিষে দিয়ে চলে যায় বাস। জানা গেছে, খুবই দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। স্কুটার আরোহীকে ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি পড়ে যান। এরপর যাত্রীরা বাস থামাতে বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি চালক। যাত্রীদের অভিযোগ, চলন্ত বাস লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে পালান চালক ও কনডাক্টর। এক যাত্রী শেষে চলন্ত বাসটিকে থামান। ফলে কোনওক্রমে রেহাই পান যাত্রীরা। পরে কনডাক্টরকে আটক করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। বাসের কয়েকজন যাত্রীও আহত হন। ওই স্কুটার আরোহীকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন ও ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, বাসের কয়েকজন যাত্রীরও আঘাত লেগেছে। বাসে প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত যাত্রীরা। কন্ডাক্টর আটক হলেও এখনও ফেরার চালক। উল্লেখ্য, গতকালই পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। গাড়ি ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ফিরছিলেন একই পরিবারের ১২ জন। ফেরার পথে দেওয়ানদিঘির কামনাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই গাড়িটির।