Sandeshkhali: 'আমরা কি ক্রিমিনাল?' বাঁশের ব্যারিকেডে আটকাতেই বিজেপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ধুন্ধুমার পুলিশের
BJP Fact Finding Team : টিম বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্দেশখালিতে এখন ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে এতজনকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না।
অনির্বাণ বিশ্বাস, রামপুর : আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুলিশকর্তা। সত্যিই তাই হল। সন্দেশখালি পৌঁছনোর আগেই ধামাখালির রামপুরে আটকে দেওয়া হল বিজেপির ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে । জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্দেশখালিতে এখন ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে এতজনকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না। আর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের সঙ্গে বেঁধে যায় তরজা । বিজেপির প্রতিনিধি দল থেকে বলা হয়, তাঁরা সকলে যাবেন না। যতজনের অনুমতি আছে, ততজনই আছেন। কিন্তু তাঁদের যেতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশও নাছোড়। তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না, জানিয়ে দেওয়া হল স্পষ্টভাবে।
১৪৪ ধারা দেখিয়ে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানো হয়। ৪ জন মহিলা প্রতিনিধি যেতে চাইলেও অনড় থাকে পুলিশ। পরে ৪ জন থেকে কমিয়ে ২ জন যেতে চাইলেও, বিজেপির প্রতিনিধিদলকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সন্দেশখালিতে কী ঢাকার চেষ্টা? কেন বাধা? প্রশ্ন তোলে বিজেপির প্রতিনিধ দল।
রামপুরে নাড্ডার পাঠানো টিমকে আটকানোর পরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে গড়া বিজেপির টিমের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি বেঁধে যায় পুলিশের। রাস্তায় বসে প্রায় ২ ঘণ্টা ধর্নার পর ফিরে যান নাড্ডার পাঠানো বিজেপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রামপুর থেকে সরাসরি রাজ্যপালের কাছে নালিশ করতে যাওয়া হচ্ছে বলা জানান বিজেপির টিম।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সঙ্গীতা যাদব এবং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, যিনি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।
সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, কোনও সভ্য সমাজে এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সন্দেশখালি যাওয়ার আগে, নিউটাউনের হোটেল থেকে বেরনোর সময় প্রতিক্রিয়া বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীর। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'আমরা তো বলেছিলাম ৪ জনই যাব। আমাদের যেতে দেওয়া হল না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। মমতা বন্দ্যওপাধ্যায় আপনিও আইনের ঊর্ধ্বে নন।'
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুরে বাঁশের ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। তার আগে সুকান্ত মজুমদারের এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরেও তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এদিকে ডিআইজি বারাসাত রেঞ্জ সুমিত কুমার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, 'কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আইন ভাঙলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে'। সেই মতো মতো সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুরে বৃহস্পতিবারেও ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। 'আদালত ১৪৪ ধারা বাতিলের পর পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে রাস্তা আটকাচ্ছে' অভিযোগ তুলে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার সেই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন :