Dilip Ghosh: 'দু’-চার কাঠা জমিতে কী হবে...' অমর্ত্যকে ‘সদুপদেশ’ দিলেন দিলীপ
Amartya Sen: জমি বিতর্কে অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকার।
বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: প্রতীচীর জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) সঙ্গে সংঘাত চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। আইনি লড়াই পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। সেই আবহে অমর্ত্যকে 'সদুপদেশ' দিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর মতে, অমর্ত্যের সম্পদের অভাব নেই। খামোকা বিতর্কে না জড়িয়ে, জমি ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল নোবেলজয়ীর।
অমর্ত্য এবং বিশ্বভারতীর সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে রয়েছেন দিলীপ। বৃহস্পতিবার সেখানে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন দিলীপ। খড়্গপুর শহরের সাউথ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন। সেখানে রাজ্য রাজনীতির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আর সেখানেই অমর্ত্য এবং বিশ্বভারতীর সংঘাত নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
এ দিন দিলীপ বলেন, "অমর্ত্য সেন একজন এত বড় মানুষ। সামান্য কয়েক কাঠা জমি বিতর্কে পড়ার কোনও মানে ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় যখন নোটিস দিয়েছে, ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলেই কোনও বিতর্ক থাকত না। দু'-চার-কাঠা জমিতে ওঁর কী হবে? ওঁর সম্পদের অভাব নেই। অভাব নেই সম্মানেরও। ফালতু বিতর্কে জড়ালেন।"
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা', CBI আদালতে পেশের আগে বললেন পার্থ
জমি বিতর্কে অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে অমর্ত্যের হাতে জমির কাগজপত্রও তুলে দেন। সেই নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষও করেন। এ নিয়ে রাজ্যেরই সমালোচনা করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, "এর মধ্যে রাজ্য সরকার ঢুকে পড়ে আরও বিতর্ক বাড়াচ্ছে। ওঁকে অপমান করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় তো তার জমি চাইবেই! কিন্তু সেটিকে বিতর্কিত করে ওঁর মতো মানুষকে আরও বেশি বদনাম করা হচ্ছে। ওঁকেও বলব, সময় আছে। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা উচিত।"
বিতর্কের কেন্দ্রে ১৩ ডেসিমল জমি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্যের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের নামে ৯৯ বছরের জন্য ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল৷ পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই জমি অমর্ত্যের নামে মিউটেশন হয়। এর পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রতীচীতে লিজের ১২৫ ডেসিমেল ছাড়াও অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে অমর্ত্যকে উচ্ছেদ নোটিসও পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী।
১৩ ডেসিমেল জমি নিয়ে অমর্ত্য-বিশ্বভারতী সংঘাত
যদিও অমর্ত্য জানিয়েছেন, বাল্য বয়স থেকে বিশ্বভারতীতে তিনি। চিঁড়ে-মুড়ি খেয়ে ক্লাসে গিয়েছেন। তাঁর জমি তাঁর না হয়ে, বিশ্বভারতীর হল কী করে, প্রশ্ন তুলেছেন অমর্ত্য। জানিয়েছেন, তাঁর বাবা জমি লিজ নিয়েছিলেন। লিজে তা লেখাও রয়েছে।