Suvendu Adhikari: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের লালন করেন, তার কারণ এরা ভোটের সময় No Vote to Modi বলে' : শুভেন্দু
Jadavpur University: বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল ক্যাম্পাসে? ঘটনাক্রম জানতে আজ ফের অনামিকার ৩ বন্ধুকে ডেকেছে পুলিশ।

কলকাতা : কীভাবে মৃত্যু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অনামিকা মণ্ডলের? পড়ে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু? নাকি কেউ তাঁকে ঠেলে জলে ফেলে দিয়েছিল? মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখতে অনামিকার মোবাইল ফোন হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দেখা হচ্ছে মোবাইলে কার সঙ্গে শেষ কথা বলেছিলেন অনামিকা? কেউ কি তাঁকে ডেকে নিয়ে গেছিল? যাদবপুরের ছাত্রীর মৃত্যুতে এখনও পরতে পরতে রহস্য। বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল ক্যাম্পাসে? ঘটনাক্রম জানতে আজ ফের অনামিকার ৩ বন্ধুকে ডেকেছে পুলিশ। যাদবপুর নিয়ে এবার বাম-তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, "কোনও লাভ হবে না। সিসি টিভি লাগাতে দেবে না এবং ওখানে বন্দেমাতরমও গাইতে দেবে না। যাদবপুরে আল্ট্রা-লেফ্ট যারা, যারা গোমতী থেকে গোদবরী আলাদা দেশ চায়, সংবিধান মানে না। পরিষ্কার কথা, মাকু যাদের বলা হয়। যারা হেরোইন, চরস, গাঁজার আখড়া করেছে...এরা ওখানে UGC বা আমাদের যে শিক্ষা ব্যবস্থা...অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিবেশ, সেটা তৈরি করতে দেয় না এবং এরা জাতীয়তাবাদী বিরোধী-রাষ্ট্র-বিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের লালিত পালিত করেন। তার কারণ, এরা ভোটের সময় No Vote to Modi বলে। তার লাভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান। বিজেপিকে আনুন, সাফ করে দেব আমরা।"
শুভেন্দুর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সবার তাতে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত। দায়বদ্ধ মনোভাব নেওয়া উচিত। সেটা বিজেপি পারল না। এটাকে রাজনৈতিক মনোভাবে পরিণত করা যায় কীভাবে তার পরিকল্পনা করছে। এটাকে ব্যবহার করে শুভেন্দুবাবু যেভাবে রাজনীতি করতে চাইছেন, সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। বামপন্থী-মাকু অমুক-তমুককে ড়াচ্ছেন। উনি শুধু একটা জিনিসই যানেন। যে, যাদবপুরে ও ঠিক দর পাচ্ছেন না, ওঁর পছন্দ নিয়ে চলতে পারছে না, ফলে ওটা ভেঙে দাও। ভেঙে দাও। এই মনোভাবটা খুব বিপজ্জনক। ধ্বংসাত্মক মনোভাব।" শুভেন্দুকে পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূলের সোশাল মিডিয়ায় সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, "এখান থেকে কিছু মানুষ নো ভোট টু বিজেপি ক্যাম্পেনে যোগ দিয়েছিল মানে এটা নয়, যারা দুষ্কৃতী আছে সবাই সেই জায়গায় যোগ দিয়েছিল। যাদবপুরে সিসি টিভি লাগানোর আন্দোলন প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন করেছিল। যত বাম-অতি বাম সংগঠন আছে তারা সিসি টিভি লাগানোর বিরোধিতা করেছিল। "






















