BJP : বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বে নতুন মোড় ? দুই সাময়িক বরখাস্ত নেতার সঙ্গে গোপনে বৈঠক লকেটের
BJP : বৈঠকে রয়েছেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়রাও....
দীপক ঘোষ, কলকাতা : নতুন মোড় নিল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ? দুই সাময়িক বরখাস্ত নেতার সঙ্গে গোপনে বৈঠক করছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। দুই সাময়িক বরখাস্ত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। বৈঠকে রয়েছেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপর এক নেতা সমীরণ সাহাও।
উত্তরাখণ্ডে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে নির্বাচনী প্রচার শেষ করে দিন দুয়েক আগে রাজ্যে ফেরেন লকেট। ফিরেই তিনি দলের চিন্তন বৈঠকে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান। সাম্প্রতিক পুরসভা ভোটে রাজ্যের কোথাও বোর্ড গড়া তো দূর, প্রাপ্ত ভোট শতাংশের নিরিখেও বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে বামেরা।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে আত্মবিশ্লেষণের সুরে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধু সন্ত্রাসের কথা বললে হবে না। নিজেদের দুর্বলতাও দেখতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে সিপিএম কীভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল। রাজ্য নেতৃত্বের অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই অবস্থান গ্রহণ করেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, দলের কমিটিগুলিতে যোগ্যতা নয়। গুরুত্ব পেয়েছে কোটা ! সেই প্রসঙ্গেই রবিবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, এসব কথা বলা খুব সহজ। যারা ময়দানে নেই তারা যদি এ ধরনের কমপ্লেন করে, তাহলে কী হবে। যারা ময়দানে কাজ করেছে, তারা জানে লড়াই কত কঠিন আছে।
সম্প্রতি, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে রদবদল নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ তৈরি হয়। পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রাজ্য বিজেপি। এপ্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, এরা ৩০ বছর ধরে পার্টিটা করছে। এদের পার্টি থেকে হঠাৎ বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। এরা কোথায় যাবে ? তৃণমূল বা সিপিএমে তো যায়নি। বিজেপির মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বসেছেন, অসুবিধে কী আছে ?
এই আবহেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে দিল্লি গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) সঙ্গে দেখা করেন বরখাস্ত হওয়া বিজেপি (BJP) নেতা রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari)। পুরভোটে বিজেপির ভরাডুবির জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে দায়ী করে অভিযোগ জানান। সব বলেছি সাংসদকে, জানান রীতেশ। রাজ্যে ফিরে এসে চিন্তন বৈঠকে সরব হন লকেট। তারপর আজ এই বৈঠক।