Suvendu on Jay Prakash: ‘কচুবন থেকে ঘাসবনে গিয়েছেন’, জয়প্রকাশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
Suvendu on Jay Prakash: করিমপুরের পিপুলখোলায় উপনির্বাচন চলাকালীন আক্রান্ত হন জয়প্রকাশ। তাঁকে মারধর, লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়।
কলকাতা: মন কষাকষি চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিন্তু জয়প্রকাশ মজুমদার ((Jay Prakash Majumdar) সটান তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব যদিও বিষয়টিকেই লঘু করে দেখানোর পক্ষেই। তাই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ থেকে সুযোগসন্ধানী, নানা কটাক্ষই উড়ে আসছে তাঁর দিকে। এ বার জয়প্রকাশকে একহাত নিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যে তৃণমূল কচুবনে ফেলে দিয়েছিল, জয়প্রকাশ সেখানেই গিয়ে উঠলেন বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
বিজেপি-তে (BJP) দীর্ঘ বিদ্রোহ-পর্ব কাটিয়ে মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) উপস্থিতিতে জোড়াফুল (TMC) পতাকা হাতে তুলে নেন জয়প্রকাশ। তার পর থেকেই বিজেপি-র সাধারণ কর্মীদের মধ্যে তো বটেই, নেতাদের একাংশের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কারণ এক দিন আগেও বিক্ষুব্ধদের মধ্যে বৈঠক হলেও, বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি।
তাই জয়প্রকাশের তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রায় সকলেই। শুভেন্দু যদিও প্রথমে এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। কিন্তু পরে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় তিনি বলেন, ‘‘কিছু বলব না। কচুবন থেকে ঘাসবনে গিয়েছেন। আমার কোনও মন্তব্য নেই। এই তৃণমূলীরাই তো ওঁকে করিমপুরে কচুবনে ফেলে দিয়েছিল!’
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন পেয়ে তখন উৎসাহে ফুটছে বিজেপি। সেই সময় করিমপুরের পিপুলখোলায় উপনির্বাচন চলাকালীন আক্রান্ত হন জয়প্রকাশ। তাঁকে মারধর, লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। এমনকি লাথি মারার দৃশ্যও ধরা পড়ে। সেইসময় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছিলেন জয়প্রকাশ। সেই মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এ দিন সেই তৃণমূলেই গিয়ে উঠেছেন জয়প্রকাশ। তা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র প্রবীণ নেতা তথাগত রায়ও। তাঁর যদিও অভিযোগ, প্রচার পেতে নিজেই চাকা ছডি়য়ে তৃণমূলের লোকের কাছে লাথি খেয়েছিলেন জয়প্রকাশ। যদি জয়প্রকাশ সাফ জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি ছাড়েননি, বরং দলই তাঁকে বহিষ্কার করে।