Mamata Banerjee: বাংলায় ফিরল পহেলগাঁওয়ে নিহতদের কফিনবন্দি দেহ, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
Kashmir News: কাশ্মীরের বৈসরণে জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলি। ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে পর্যটকদের খুন। পুলওয়ামার ৬ বছর পর ফের ভয়াবহ নাশকতা সাক্ষী ভূস্বর্গ।

কলকাতা: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার নিহত বাংলার ৩। বৈষ্ণবঘাটা ও বেহালার ২ বাসিন্দার মৃত্যু। প্রাণ গেল পুরুলিয়ার বাসিন্দা, হায়দরাবাদে কর্মরত এক IB অফিসারেরও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে তাঁদের কফিনবন্দি দেহ। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে বাংলার ৩ জন-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধর্মীয় পরিচয় জেনে টার্গেট কিলিং, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহর। জঙ্গি হানায় প্রাণ গেছে হায়দরাবাদে কর্মরত IB অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। এদিন সন্ধেয় তাঁদের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। এই ঘটনায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সন্ত্রাসের কোনও জাত নেই। কোনও ধর্ম নেই। এদের ক্ষমাও করা যায় না। বেছে বেছে করেছে। ওখানে তো সেনা ছিল। আমরা চাই যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমি নিজে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। বিতানের স্ত্রী এবং ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। বেহালায় যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে। এই দুঃখের দিনে ওদের পাশে আছি।''
বছর চল্লিশের বিতান ফ্লোরিডার থাকতেন। কাজ করতেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়। বিতানের পৈতৃক বাড়ি বেহালায়। বাড়ির ছোট ছেলে। জঙ্গিদের গুলিতে সন্তানের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। যে সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচতে ১৯৬৪ সালে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসেছিলেন বীরেশ্বর অধিকারী। এত বছর পর নিজের দেশে সেই সন্ত্রাসেরই বলি হল তাঁর সন্তান। মার্কিন মুলুকে থাকলেও শিকড় ভোলেননি বিতান। বৃদ্ধ মা-বাবার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ছোট ছেলে। এবার কী হবে? ভেবে আকুল সন্তানহারা দম্পতি। নেতাজিনগর থানা এলাকায় বৈষ্ণবঘাটা লেনে বিতানের আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও সাড়ে ৩ বছরের ছেলে।
বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা বছর ৫২-র সমীর গুহ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গেছিলেন কাশ্মীরে ঘুরতে। নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের সামনেই স্বামীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। নিহত সমীর গুহর স্ত্রী শবরী গুহ বলেন, "গোটা ১০-১৫ জন ওখানে ছিলাম আমরা। এলোপাথাড়ি গুলি...কোনও জিজ্ঞাসা নয়। মেয়েকে আমার স্বামী ডাকছে জিয়া জিয়া...তুই শুয়ে পড়, শুয়ে পড়। মুখে মাস্ক লাগানো ছিল। বলছে, ইনকো ছোড়না নেহি, ইনকো ছোড়না নেহি। সবাই শুয়ে পড়ল, আমার স্বামীকে গুলি মারল। আমরা স্বামীকে নিয়ে আসতে পারিনি ওখান থেকে। আমাদের আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল কলকাতায়।''






















