কথা রাখলেন পুর প্রশাসক, পুজোর আগেই পুরোহিত, ঢাকি ও মৃৎশিল্পীদের দেওয়া হল টিকা
ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি সকলেই। তাঁরা বলছেন, পুজো আসছে সে ক্ষেত্রে আমাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন ছিল। পৌরসভাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের ভ্যাকসিন দেওবার জন্য।
সমীরণ পাল, বনগাঁ: আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবার সেই মতোই সম্পূর্ণ হল টিকাকরণ কর্মসূচি। বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে পুরোহিত, ঢাকি ও মৃৎশিল্পীদের দেওয়া হল ভ্যাকসিন। দুর্গাপুজো আসছে, তার আগেই বনগাঁ পৌর এলাকার সমস্ত পুরোহিত ,ঢাকি ও মৃৎ শিল্পীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করল বনগাঁ পৌরসভা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর ভবনে বনগাঁ পৌর প্রশাসক গোপাল শেঠ ও প্রাক্তন কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে প্রায় ৩০০ পুরোহিত, ঢাকি, মৃতশিল্পীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি সকলেই। তাঁরা বলছেন, পুজো আসছে সে ক্ষেত্রে আমাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন ছিল। পৌরসভাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের ভ্যাকসিন দেওবার জন্য।
করোনা আবহে গত বছর সেভাবে বরাত আসেনি। এ বছর, শারদোত্সবের আগে, আশায় বুক বাঁধছেন ঢাকিরা। কিন্তু অনেকেরই তো ভ্যাকসিনেশন হয়নি। তাঁরা কি পারবেন পুজোয় সামিল হতে? চিন্তায় ছিলেন বনগাঁর প্রায় ৪০টি ঢাকি পরিবার। তাঁদের জন্য ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন পুর প্রশাসক।
এ ঢাক দেয় ডাক, শোনায় আগমনীর সুর! ঢাকের বাদ্যি কানে এলেই মনটা কেমন যেন পুজো পুজো করে ওঠে। পুজোয় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও, বিন্দুমাত্র কমেনি ঢাকের চাহিদা। কিন্তু করোনা আবহে, এখনও অসহায় এই ঢাকি পরিবারগুলি। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর দাসপাড়া এলাকায় প্রায় ৪০ টি ঢাকি পরিবারের বাস। গত বছর মহামারীর তাণ্ডবে, সেভাবে বায়না আসেনি।
তবে এবছরেও চিন্তায় ছিলেন দাসপাড়ার ঢাকিরা। বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ জানিয়েছিলেন, পুরসভা চেষ্টা করছে তালিকা তৈরি করে ভ্যাকসিন দেওয়ার। হাতে আর দুমাস। তারপরই শারদোত্সবে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। অন্যান্যবার রথের সময় থেকেই শুরু হয়ে যায়, ঢাকিদের বায়না। কিন্তু, মহামারী পরিস্থিতিতে এখনও সেভাবে বরাত আসেনি। ঢাকের বোল আছে। তাতে হৃদয়ের ডাক নেই! কবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে দিকেই তাকিয়ে অসহায় ঢাকিরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ভ্যাকসিন হয়রানি অব্যাহত। গতমাসে প্রায় ৪২ লক্ষ ডোজ এসেছিল রাজ্যে। তবে ঘাটতি মেটেনি। ১৪ অগাস্ট ফের রাজ্যে এল ৭ লক্ষ ২ হাজার ১৭০টি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আজই মোট ৭ লক্ষ ২ হাজার ১৭০টি ডোজ এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে নিয়ে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরেই আপাতত রাখা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের জোগান নেই বলেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।