Bowbazar Building Demolish: বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ২টি বাড়ি আংশিক ভাঙার কাজ শুরু আজ
KMRCL সূত্রে খবর, আংশিক ভাঙার পর যদি দেখা যায়, বাড়ির বাকি অংশ নিরাপদ, তাহলে সেই অংশটি আর ভাঙা হবে না। কিন্তু যদি দেখা যায়, বাকি অংশ বিপজ্জনক, তাহলে পুরো বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হবে।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বউবাজারে (Bowbazar Building Demolish) ক্ষতিগ্রস্ত ২টি বাড়ি আংশিক ভাঙার কাজ আজ শুরু হবে। KMRCL সূত্রে খবর, আংশিক ভাঙার পর যদি দেখা যায়, বাড়ির বাকি অংশ নিরাপদ, তাহলে সেই অংশটি আর ভাঙা হবে না। কিন্তু যদি দেখা যায়, বাকি অংশ বিপজ্জনক, তাহলে পুরো বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হবে। ওই এলাকার বাকি বাড়িগুলির ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে KMRCL সূত্রে খবর। পরামর্শ নেওয়া হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিশেষজ্ঞদেরও।
আজ শুরু ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙার কাজ: প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১১টা থেকে কাজ শুরু হবে। ১৬ নম্বর এবং ১৬/১ নম্বর দুর্গা পিটুরি লেন- এই বাড়ি দুটির একাংশ ভাঙা হবে। যদি দেখা যায় বাড়ির অন্য অংশ নিরাপদ অবস্থায় আছে, তাহলে আর বাকিটা ভাঙা হবে। অন্যথায় ভেঙে ফেলা হবে দুটি বাড়িই। অন্যদিকে ১৫ নম্বর দুর্গাপিটুরি লেন- এই বাড়িটি কলকাতা পুরসভার খাতায় বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই বাড়ির একাংশ হেলে পড়েছে ১৪ নম্বর বাড়ির দিকে। ওই বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য পুরসভার সঙ্গ আলোচনা করবে KMRCL কর্তৃপক্ষ। গোটা এলাকায় কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ১৪।
এতদিনের আশ্রয়, ইঁট-কাঠ-সিমেন্টের আস্তরণে গাঁথা সুখ-দুঃখের মুহূর্ত। কিন্তু বউবাজারে মেট্রোয় কাজের জেরে ধসের কারণে ফের ঘরছাড়া হয়েছে একাধিক পরিবার। ফের আশ্রয় নিতে হয়েছে হোটেলে। কিন্তু নিজেদের এতদিনের বসত ভিটের কী হবে? আর কি ফেরা যাবে নিজের বাড়িতে? বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের মনে এখন এসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
বাড়ি ভাঙা নিয়ে এই অনিশ্চয়তার তৈরি হওয়ায় মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলর। চৌরঙ্গীর তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেট্রো নিজেরাই কনফিউজড। একপক্ষ বলছে ভাঙবে, একপক্ষ বলছে ভাঙবে না।’’এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি কি ভাঙা হবে? না, ভাঙা হবে না? যদি বাড়ি ভাঙা হয়, তাহলে পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে? এতগুলো সংশয়ের মধ্যেই রবিবার মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠক হয়।