Bowbazar: মেট্রো টানেলে ওয়াটার পকেট বন্ধ করতে উদ্যোগ, কংক্রিটের চাদর তৈরির কাজ শুরু
Bowbazar Update: ইতিমধ্যে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজও শুরু করেছে মেট্রো প্রকল্পের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা KMRCL। কিন্তু যে কারণে পরপর বাড়িতে ফাটল, কোন পথে তার সমাধান?
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বউবাজারে মেট্রোর টানেলে (Bowbazar Metro Tunnel) আর যাতে কোনওভাবেই জল না ঢোকে তার জন্য তৎপর হল কেএমআরসিএল (KMRCL)। টানেলের দেওয়ালে কামানের মতো যন্ত্র দিয়ে ছোড়া হচ্ছে রাসায়নিক মেশানো বিশেষ মিশ্রণ। রাজ্যে বর্ষা ঢোকার আগেই এই কংক্রিটের চাদর তৈরির কাজ শেষ করতে চায় কেএমআরসিএল।
কেএমআরসিএলের বিশেষ উদ্যোগ
আড়াই বছর পর ফের ফিরেছে সেই আতঙ্ক। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে একাধিক বাড়িতে ধরেছে ফাটল। বাড়ি ছেড়ে হোটেলে আশ্রয় নিতে হয়েছে বাসিন্দাদের।
ইতিমধ্যে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজও শুরু করেছে মেট্রো প্রকল্পের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা KMRCL। কিন্তু যে কারণে পরপর বাড়িতে ফাটল, কোন পথে তার সমাধান?
KMRCL সূত্রে খবর, মেট্রোর টানেলে ওয়াটার পকেট বন্ধ করতে কংক্রিটের ৩টি স্তরের প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। ওয়াটার পকেট বন্ধ করতে টানেলের দেওয়ালে কামানের মতো যন্ত্র দিয়ে ছোড়া হচ্ছে রাসায়নিক যুক্ত বিশেষ মিশ্রণ। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিভাষায় যাকে বলে ‘শট ক্রিট’।
আরও পড়ুন: SSC Update: স্কুলে ৬,৮৬১ নতুন পদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ
২০১৯ সালে বউবাজারে বিপর্যয়ের পর মাটির তলায় আটকে যায় টানেল বোরিং মেশিন চণ্ডী। সেই TBM তুলতে চৌবাচ্চা তৈরি করে KMRCL। এরপরই মেট্রোর টানেলে জল ঢোকা আটকাতে কংক্রিট জয়েন্ট বক্স নির্মাণ শুরু করে KMRCL। ৩৮ মিটারের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৯ মিটার কংক্রিটের চাদর বসানো হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে ৯ মিটার। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় টানেলে ১১টি পকেট দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। সেই জলের সঙ্গে মিশে ধুয়ে যেতে থাকে মাটি ও বালি। ফলে বসে যায় আশপাশের অংশের মাটি।
এবছর বর্ষা এগিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সেই বৃষ্টি নামার আগে কংক্রিটের চাদর তৈরির কাজ শেষ করা KMRCL-র কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।