Bowbazar House Collapse: বউবাজারে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ, আহত এক
Kolkata News: শহরে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা লেগেই রয়েছে। গত মার্চ মাসে মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ।

সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: ফের শহরে ভেঙে পড়ল বাড়ি। এবার ঘটনাস্থল বউবাজার। রবিবার সকালে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। হুড়মুড়িয়ে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার জেরে আহত হয়েছেন একজন।
বউবাজারের শ্রীনাথ দাস লেনে, শ্রীনাথ দাসেরই বাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন শতাব্দী প্রাচীন এই বাড়ি এখন দেবোত্তর সম্পত্তি। বাড়ির একাংশে এদিন মেরামতির কাজ চলছিল। সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎ করে তিনতলার পুরো অংশ নিচে ভেঙে পড়ে। সেই সময় পাঁচ জন মেরামতির কাজ করছিলেন। তার মধ্যে আটকে আশুতোষ অধিকারী নামে এক ব্যক্তি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বউবাজার থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ছুটে আসেন দমকল কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। স্থানীয়রা বলছেন, দাস পরিবারের কেউ সেখানে না থাকলেও এখন ওই বাড়িতে ভাড়াটেরা রয়েছেন। যদিও যেখানে ঘটানাটি ঘটেছে সেখানে কেউ ছিলেন না।
শহরে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা লেগেই রয়েছে। গত মার্চ মাসে মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ। ওই ঘটনাতেও আহত হন একজন। বহুতলে পুনর্নিমাণের কাজের মাঝেই এই বিপত্তি ঘটে।। বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ে এক কর্মী আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার আগে গত বছর ডিসেম্বরে কালীঘাটে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডল পাড়া লেনে ভেঙে পড়ে পুরনো বাড়ির একাংশ। রাতে হঠাৎই বাড়ির ওপরের অংশ ভেঙে পড়ে। যদিও আহত হননি কেউ।
তবে শুধু বহুতল ভেঙে পড়াই নয়, বেআইনিভাবে নির্মাণের ছবি সামনে এসেছে বহুবার। তাতে হেলে পড়েছে একের পর এক বহুতল। এই ঘটনায় রাশ টানতে উদ্যোগীও হয়েছে পুরসভা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, ৩০০ স্কোয়ার ফুট জায়গাতেই ৩ তলা বাড়ির অনুমতি মিলবে কলকাতায়। শুধু তাই নয় বস্তি বা কলোনি এলাকায় এই তিন তলা বাড়ির অনুমতি পাওয়ার জন্য, যে খরচ এতদিন করতে হত, একধাক্কায় সেই খরচ অনেকটাই এবার পুরসভা কমিয়েছে। ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা থেকে এবার দিতে হবে ৪২ হাজার টাকা। কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী, বাড়ি তৈরি করতে গেলে, বাড়ির চারিপাশে নুন্যতম ৪ ফুট করে ছাড় দেওয়ার একটা নির্দেশ ছিল। এক্ষেত্রেও কিন্তু কিছু বদল আনা হয়েছে। বলা হয়েছে বাড়ির সামনের দিকে, ১ ফুট এবং চারিদিকে- কোথাও এক ফুট, কোথাও দেড় ফুট বা তিন ফুট , এরকম ছাড় দিলেই কিন্তু বাড়ি তৈরি অনুমতি পেয়ে যাবে শহরবাসী।






















