Duttapukur Incident : ১৫ দিন আগেই 'রাজমিস্ত্রীর কাজের নাম করে' বাজি কারখানায় যোগ, বেঘোরে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
Duttapukur Incident Update : ১৫ আগে মোহন সিং জেরাত, তার দুই ছেলে, ভাই ও ভাইপোকে রাজমিস্ত্রির কাজের কথা বলে নিয়ে যায়, দাবি জেরাতের স্ত্রীয়ের
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Duttapukur Incident) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। একদিকে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আরেকদিকে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই বাজি কারখানার (crackers factory) জাল যে কোথা থেকে কোথা অবধি ছড়িয়ে, উঠে আসছে তদন্তে। জানা গিয়েছে ইটভাটার আড়ালে যা 'বাজি তৈরির' মহাযজ্ঞ চলত সেখানে বাইরের লোকের ঢোকায় নিষেধ ছিল, দাবি স্থানীয়দের। দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় কাজ করতে শ্রমিকরা অনেকেই এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ থেকে।
যেমন, দত্তপুকুর (Duttapukur Blast incident) বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম উঠে আসছে জেরাত শেখের। প্রকাশ্যে এসেছে তার তৃণমূল-যোগও। জেরাতের বৌদি পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের নেত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জেরাতের বউদি সারিফা বিবি সুতির জগতাই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতির নতুন চাঁদড়া গ্রামে। স্ত্রী আসনা বিবির দাবি, দত্তপুকুরের বিস্ফোরণে জেরাতের দুই ছেলে, ভাই ও ভাইপোর মৃত্যু হয়েছে। জেরাতের দুই ছেলে ১৬ বছরের ছোটন শেখ, ২১ বছরের আন্দাজ শেখের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাদের মায়ের। খোঁজ মিলছে না জেরাতের।
পরিবার সূত্রে খবর, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামেই ছিল জেরাত। দিন ১৫ আগে মোহন সিং জেরাত, তার দুই ছেলে, ভাই ও ভাইপোকে রাজমিস্ত্রির কাজের কথা বলে নিয়ে যায়। যদিও মোহন সিংয়ের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
রবিবার রাতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হয় । বেআইনি বাজি কারবারের নাটের গুরু কেরামত আলির পার্টনার সফিকুল ইসলাম এখন পুলিশের জালে। ধৃতের বাড়ি বেরুনারায়ণ পুকুরিয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে মৃত কেরামতের সঙ্গে পার্টনারশিপে ব্য়বসা চালাত সফিকুল। মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিল তাদের বেআইনি বাজির কারবার। নীলগঞ্জ থেকেই সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মোচপোল, কাঠুরিয়া, নীলগঞ্জ জুড়ে বেআইনি বাজির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল কেরামত আলি ও তার সঙ্গীরা। অথচ তা জানতেনই না স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও পুলিশ। ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অবশ্য মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। বিস্ফোরণের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। মোচপোলের বাসিন্দা শেখ আকবরের অভিযোগ, নীলগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ সব জেনেশুনেও চোখ বন্ধ করে বসেছিল। পুলিশ টাকা নিয়ে বেআইনি বাজি কারবারে মদত দিত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন :
দত্তপুকুরে ফ্য়াক্টরিতে গবেষণাগারের মতো অত্যাধুনিক মেশিন থেকে শিল্ড লাগানো হেলমেট ! পরতে পরতে রহস্য