Calcutta High Court:সন্দেশখালির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ কলকাতা হাইকোর্টের
Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। '...এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার এটাই সঠিক সময়',মন্তব্য বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Chaos) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court Suo Moto Case)। 'মানুষ রাতে ঘুমোতে যায় এটা ভেবে যে মাথার ওপর আদালত আছে। আদিবাসীদের জমি দখল এবং ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে আদালত বিচলিত। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার এটাই সঠিক সময়', মন্তব্য বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের। গোটা ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে আদালত বান্ধব নিযুক্ত করা হয়েছে।
আর যা...
ঘটনা হল, নারী-নির্যাতনের অভিযোগের জেরে গত কয়েক দিন ধরে শিরোনাম সন্দেশখালি। সোমবার, এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বলেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে।' শুধু তাই নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি ছিল, গ্রামবাসীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলেরা গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়, স্বামী হলেও তাঁঁদের কোনও অধিকার নেই।' আমেঠির বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, 'হিন্দু পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণের জন্য চিহ্নিত করা হত... এরা সবাই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোক।' অথচ এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোনও তথ্য নেই, কটাক্ষ করেন স্মৃতি। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে গেলে তাঁর সামনেও অত্যাচারের অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলাদের অনেকে। এদিন, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সেই অভিযোগের কথা উঠে আসে কলকাতা হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের মন্তব্যে।
বাতিল ১৪৪ ধারা...
বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, 'শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা মেয়েদের উপর অত্যাচার করেছে। কৃষি জমিতে মাছের ভেড়ি করেছে শেখ শাহজাহানরা। মামলায় অভিযোগ মারাত্মক, হালকা ভাবে নেবেন না।' আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য হাইকোর্টে বলেন, 'পুলিশ আধিকারিকরাও এতে অভিযুক্ত। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।' এর পরই আদালতের প্রশ্ন, '৩ বছর ধরে পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। সন্দেশখালিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মহিলারা। এমন কিছু অভিযোগ, যেটা দেখে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।'
আরও পড়ুন:'TMC-কে ঢুকতে দিলে খণ্ডযুদ্ধ হবে', সন্দেশখালিতে ঢোকার আগে বাধা পেয়ে হুঙ্কার কংগ্রেসের