Calcutta High Court: বারাসাত কাছারি ময়দানে সিপিএমের সভার অনুমতি হাইকোর্টের
কাল দুপুর ৩ থেকে ৭ পর্যন্ত সভা করতে পারবে সিপিএম, নির্দেশ হাইকোর্টের। ২০১৭ সাল থেকে এই মাঠে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি, সওয়াল রাজ্যের।
কলকাতা: বারাসাত (Barasat) কাছারি ময়দানেও সিপিএমের (CPM) সভার অনুমতি হাইকোর্টের। মাঠ সংস্কারের কাজ হবে বলে সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। 'অনুমতি দিয়ে প্রত্যাহার অস্বচ্ছতার উদাহরণ', মন্তব্য বিচারপতি মান্থার। কাল দুপুর ৩ থেকে ৭ পর্যন্ত সভা করতে পারবে সিপিএম, নির্দেশ হাইকোর্টের। ২০১৭ সাল থেকে এই মাঠে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি, সওয়াল রাজ্যের। পাশে আদালত, জেলাশাসকের অফিস, পুলিশের অফিস, হাসপাতাল আছে'।'এডিএম জানতেন না, তাই ভুল করে অনুমতি দিয়েছেন', আদালতে সওয়াল রাজ্যের।
সিপিএমের সভার অনুমতি: বারাসাতের কাছারি ময়দানের সভার অনুমতি চেয়েও হাইকোর্টে যায় সিপিএম। তাদের তরফে আদালতে বলা হয়, আগে অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। মাঠ সংস্কারের কাজ হবে, এই বলে অনুমতি দেওয়ার পরও, তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু, এখনও মাঠ সেই একই অবস্থায় পড়ে আছে। পাল্টা, রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে এই মাঠে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাশে আদালত, জেলা শাসকের অফিস, পুলিশের অফিস এবং হাসপাতাল আছে। ADM জানতেন না, তাই ভুল করে অনুমতি দিয়েছেন।এরপরই, বিচারপতি মান্থা বলেন, অনুমতি দিয়েও, তা প্রত্যাহার করা অস্বচ্ছতার উদাহরণ। মঙ্গলবার, দুপুর ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সভা করতে পারবে CPM।
এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম,পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা,পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে বাঁকুড়ার সিমলাপাল বিভিন্ন ত্রুটির কথা বলে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সেগুলির ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে শুভেন্দুর কর্মসূচির অনুমতি আদায় করে এনেছিল বিজেপি। এবার সেই, একই পথে হেঁটে আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে হাওড়ায় মিছিল এবং সভা করল সিপিএম।
এদিকে রামনবমীর মিছিলের অশান্তির প্রায় দু-মাস পর হাওড়ার ওই এলাকা দিয়ে মিছিল করতে চায় CPM। তাদের দাবি, হাওড়ার কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করা হবে। এরপর, হাওড়া ময়দানে করা হবে সভা। সেই মতো ১৮ মে আবেদন করা হয়। কিন্তু, গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্টের কথা বলে, বাতিল করা হয় সেই আবেদন। এদিন, আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে দিতে মিছিল যাওয়ার কথা। আমরা ওই এলাকাগুলির বাইরে মিছিল করার আবেদন করছি। কারণ, মিছিল থেকে কোনও ইন্ধন না থাকলেও, বাইরে থেকে উস্কানি দিয়ে গোলমাল হলে তখন কি হবে? দু-পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হাওড়ার স্পর্শকাতর এলাকায় মিছিল হওয়ায়, সেখানে খুব ভেবে চিন্তে স্লোগান বাছতে হবে। মিছিলে কোনও মাইক ব্যবহার করা যাবে না। হাওড়া ময়দানের সভায় ব্যবহার করা যাবে মাইক। চওড়া বস্তি, মল্লিক ফটক, ফাজির বস্তি এলাকায় কোনও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করা যাবে না। বিকেল চারটে থেকে এক ঘণ্টা মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এরপর করতে হবে সভা।
আরও পড়ুন: Sugarcane Juice Benefits: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?