Sandeshkhali Incident: আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের
Calcutta High Court: আগের রবিবার পুলিশ বাধার পরে সন্দেশখালি যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া, নতুন পাড়া ও নস্করপাড়ার রাসমন্দিরে যাওয়ার আবেদন জানায় তারা।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court On Sandeshkhali) বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। এ বিষয়ে মুচলেকা দিতে হবে স্থানীয় থানায়।
৩ মার্চ, রবিবার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (Fact Finding Committee) কমিটিকে সন্দেশখালি (Fact Finding team to Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সন্দেশখালি যেতে পারবেন ৬ সদস্য়র প্রতিনিধি দল। তারই সঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। আর তা নিয়ে স্থানীয় থানায় মুচলেকা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি সহ মোট ৬ জন। সেই দিন ঠিক ছিল ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাবেন তাঁরা। কিন্তু, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে, ভোজেরহাটেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের।
টিমের সদস্যরা জিজ্ঞেস করেন যেখানে তাঁদের আটকানো হয়েছে সেখান থেকে সন্দেশখালির দূরত্ব কতদূর। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক জানান ৭০ কিলোমিটার। তা শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন কেন তাহলে এত আগে থেকে তাঁদের আটকানো হল। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে ভোজেরহাটে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। শেষপর্যন্ত তাঁদেরকে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। পরে লালবাজার থেকে বেরিয়ে, এরপর রাজভবনে যান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা।
এরপরেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case) যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া, নতুন পাড়া ও নস্করপাড়ার রাসমন্দিরে যাওয়ার আবেদন জানায় তারা। মামলাকারী সংস্থার দাবি, এই তিনটে অঞ্চলে ১৪৪ ধারা নেই। শুনানিতে রাজ্য় সরকারের তরফে পাল্টা বলা হয়, কোনও বিধিবদ্ধ সংস্থাকে কখনও আটকানো হয়নি। কিন্তু এই সংস্থায় কারা আছেন? তাঁরা কেন যাবেন?
বিচারপতি বলেন, ১৪৪ ধারা না থাকলে যে কেউ যেতে পারেন। এরপরই, শনিবার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।