Supreme Court: এবিপি আনন্দে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টে, হলফনামা তলব
Supreme Court on Abhijit Gangopadhyay Interview: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের একটি ৪ পাতার তর্জমা এদিন কোর্টে পেশ করেন অভিষেকের আইনজীবী।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) উঠেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) আদালতে বলেছিলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-কুন্তল ঘোষকে খুব দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত সিবিআইয়ের'। এরপরই ১৩ এপ্রিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা হয়। সেই মোতাবেক শুক্রবার পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন এবিপি আনন্দে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উঠল সুপ্রিম কোর্টে। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের একটি ৪ পাতার তর্জমা এদিন কোর্টে পেশ করেন অভিষেকের আইনজীবী। এরপরই এবিপি আনন্দকে সাক্ষাৎকার নিয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সেই সাক্ষাৎকারে বিচারপতির বক্তব্য এবং মন্তব্য নিয়ে গোটা বিষয়টি তিনি জানাতে চান। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাক্ষাৎকার নিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলের হলফনামা তলব করা হয়েছে। তবে 'যে বিষয়ে মামলা শুনছেন, সেই বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না বিচারপতি', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তে অন্তরায় হবে না সুপ্রিম কোর্ট, একইসঙ্গে এদিন বুঝিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, 'ভিডিওতে কিছু আছে, কোর্টে কি বলা হয়েছে, তাতে যাবে না আদালত। আইনজীবী সিঙ্ঘভি একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলেছেন, যাচাই করতে হবে'। সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ যাচাই করার আগে কোনও রায় নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সাক্ষাৎকারটি সরাসরি দেখুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে-
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু'জনেই বলেছেন যে বিচারবিভাগের একটা অংশ পক্ষপাত নিয়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের জাস্টিস রাজশেখর মান্থার নামও উল্লেখ করেছিলেন। এই সমালোচনাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "একটি ক্লিপে দেখছি যদিও সেখানে আমাকে নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না। কিন্তু সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বিজেপিরা জানে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যাবে। একদল জজের মাথায় বিজেপির হাত রয়েছে। এসব কি কথা? ওঁকে ডেকে যদি জিজ্ঞেস করি যে আপনি প্রমাণ করুন তো। কিচ্ছু করতে পারবেন না। বরং মিথ্যে কথার জন্য তিন মাস জেলে থাকুন। কী করবেন উনি কিচ্ছু করতে পারবেন না। আমাকে হয়ত পরে মেরে ফেলতে পারেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু বিচারবিভাগের প্রতি এই অঙ্গুলি নির্দেশ যে করবে তাকে ভয়ঙ্কর, কড়া ব্যবস্থার সম্মুখীন করে দিতে হবে। তা না হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।"
আরও পড়ুন, 'আমিও চাই রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই মানুষের কাছে যাচ্ছি', জনসংযোগে অভিষেক-বার্তা