SSC Case : 'SSC-র নতুন নিয়োগ বিধি মেনেই হবে পরীক্ষা' চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ
HC on SSC New Notification : যে দুর্নীতির জন্য একটা পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে , সেখানে অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর কেন? প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন খারিজ হয়ে গেল ডিভিশন বেঞ্চে। 'বিতর্কিত চাকরির অভিজ্ঞতার জন্য কেন বাড়তি ১০ নম্বর?' এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়ে দিল, ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগ বিধি মেনেই পরীক্ষা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিধিতে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট ।
তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যরা অর্থাৎ চিহ্নিত 'দাগিরা' নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। এই বিষয়ে হাইকোর্টে আগের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না চিহ্নিত 'দাগিরা' ।
এর আগে শিক্ষকতার এসএসসি-র নতুন নিয়মে অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত ১০ নম্বর ও এসএসসির নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। তখন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, 'বিতর্কিত চাকরির অভিজ্ঞতার জন্য কেন বাড়তি ১০ নম্বর বরাদ্দ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন?' মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল, অভিজ্ঞতার জন্য কেন ১০ নম্বর ধার্য করা হয়েছে? যে দুর্নীতির জন্য একটা পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে , সেখানে অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর কেন?
২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর, ২০২৫-এর নিয়োগ বিধিতে একাধিক পরিবর্তন এনেছে SSC । গত ৩০ মে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। নতুন বিধি অনুযায়ী, এবার ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে, আগে যা ছিল ৫৫ নম্বরের। নতুন পদ্ধতিতে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের গুরুত্ব হ্রাস করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্য়তার জন্য আগে আবেদনকারীরা পেতেন ৩৫, এখন পাবেন ১০। পাশাপাশি, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০ ও লেকচার ডেমনস্ট্রেশনের জন্য ১০ নম্বর ধার্য করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে SSC-র এই ৩০ মের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিই বহাল রাখল। এই বিজ্ঞপ্তি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে পারবে কমিশন। নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্য়দের বাদ দিয়ে ২০২৫-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। যদি আদালতের আগের নির্দেশ অনুসারে, কোনও চিহ্নিত অযোগ্য ব্যক্তি ইতিমধ্যে আবেদন করে থাকেন, তাহলে সেটা বাতিল বলে গণ্য় হবে।






















