Abhishek Banerjee Rally : শহিদ মিনারে অভিষেকের সভায় শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র আদালতের
WB Govt : রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিছু হলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় (Rally) শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র আদালতের । ছাড়পত্র দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।সিসিটিভি দিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মুড়ে ফেলতে হবে, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে, বিচারপতি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'আদালত প্রত্যাশা করে তৃণমূল ছাত্র-যুবর তরফ থেকে অশান্তির কোনও উস্কানি দেওয়া হবে না। যদি এরকম হয় তার ফল ভাল হবে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিছু হলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তখন বিচারপতি মন্তব্য করেন, সিপিকে মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যতে যেন একই জায়গায় দু'টি কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া হয়।
আগামীকাল শহিদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র-যুবর সভা রয়েছে। সেই সভার জন্য অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টে এসে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, আগেও মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার হুমকি এসেছে তাদের কাছে। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। বিধায়ক নৌওশাদ সিদ্দিকিকে হেনস্থা করা হয়েছে। এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ফলে, আগামীকাল শহিদ মিনার চত্বরে যে কর্মসূচির অনুমতি পুলিশ দিয়েছে, তা ইচ্ছা করে দেওয়া হয়েছে। হামলা হতে পারে। এই ধরনের একটা আশঙ্কা প্রকাশ করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
কী বলল আদালত ?
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই সভার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু, তিনি বলেছেন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বা অন্যান্য যে মঞ্চগুলি সেখানে রয়েছে, সেগুলিকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। একদিকে যেমন বাঁশের ব্যারিকেড করতে হবে, তেমনই টিন দিয়ে ব্যারিকেড করে ওই সভাগুলিকে আলাদা করতে হবে। গোটা চত্বর সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। যাতে, প্রত্যেকের গতিবিধির দিকে নজর রাখা যায় এবং সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোথাও যেন আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কোনও অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তার পাশাপাশি বলা হয়েছে, যেহেতু দুটি সভা পাশাপাশি হচ্ছে, তাই সভা থেকে যেন কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য বক্তারা না রাখেন। কলকাতা হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সভা করতে হবে। সভা হয়ে গেলে সভাস্থল পরিষ্কারের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।