Calcutta High Court: 'রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্তদের' নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় নির্দেশ আদালতের
Narendrapur Update: পুলিশকে ডেডলাইন দিয়ে নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
কলকাতা: আজ রাতের মধ্যেই নরেন্দ্রপুরের অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। প্রধান শিক্ষক-সহ এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাকি শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ: পুলিশকে ডেডলাইন দিয়ে নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী, 'আজ রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্তদের। আপাতত স্কুলে ঢুকতে পারবেন না প্রধান শিক্ষক।' এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'কারা স্কুলে ঢুকে লুঠপাট চালালো? পঞ্চায়েত সদস্যরা? পঞ্চায়েত সদস্যরা কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থায় উৎসাহী হয়ে পড়ল?' এদিন আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নতুন সেন্টার ইনচার্জ নিয়োগ করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল নরেন্দ্রপুরের স্কুলে?
নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শনিবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। টিচার্স রুমে বেধড়ক মার খান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ করেন, ওইদিন সকাল ১১টা নাগাদ ক্লাস চলাকালীন স্কুলে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। অকথ্য গালিগালাজ, হুমকি দিতে দিতে তারা পৌঁছে যায় দোতলায় টিচার্স রুমে। এরপর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর চড়াও হয় বহিরাগতরা। অভিযোগ স্কুলের নথি, বই-খাতা তছনছ করা হয়। ছবি তোলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোনও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, তাণ্ডবের নেপথ্যে খোদ প্রধান শিক্ষকের মদত রয়েছে। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই সরব। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। হামলার পর আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা গেট বন্ধ করে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা ধরে স্কুলের মধ্যেই ছিলেন। পরে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
ঘটনায় ২ তৃণমূল নেতা, ১ তৃণমূলকর্মী-সহ ১৫জনের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। শনিবারের ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। স্কুলের কাছেই বাড়ি ধৃত মহেশ্বর নাড়ু ও সোনু মণ্ডলের। যদিও মহেশ্বরের মা দাবি করেন, 'ছেলে কিছুর মধ্যে ছিল না, কোনও দলও করে না। রাতে
রাতে ঘরে ঘুমোচ্ছিল, পুলিশ পরিচয় না দিয়ে এসে তুলে নিয়ে যায়। কেউ ওকে ফাঁসিয়েছে।' FIR-এ নাম থাকা বাকিরা এখনও অধরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Ram Mandir: রাম মন্দিরে শুরু রাগ সেবা, সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বাংলার পূর্ণদাস বাউল