Suvendu Adhikari : আদালতে অস্বস্তি বাড়ল শুভেন্দুর, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার
আদালতে অস্বস্তি বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে অস্বস্তি বাড়ল বিরোধী দলনেতার। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ৪টি মামলার তদন্তে CBI এবং রাজ্য পুলিশের যুগ্ম SIT গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। SIT-তে CBI-এর একজন SP পদমর্যাদার অফিসার ও রাজ্য পুলিশের একজন SP পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। তাঁরা সমসংখ্যক আধিকারিক নিয়োগ করবেন।
২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল , ২০২১-এর ৫ মে’র পর থেকে ২৭ নভেম্বর অবধি তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি মিথ্যা মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব FIR’এ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি FIR-এর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তাঁর নির্দেশ ছিল, আগামী দিনেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও FIR করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
সেই রক্ষাকবচই প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, 'কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ অনন্তকাল চলতে পারে না।
পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। 'কোনও বক্তব্য থাকলে লিখিত আকারে জানাতে হবে সোমবারের মধ্যে জানাতে বলেন বিচারপতি। পাশাপাশি মানিকতলা সহ মোট চারটি মামলা সিবিআই এবং রাজ্যের যুগ্ম SIT গঠন করল আদালত। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫ টি মামলা খারিজ করা হয়েছে।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'এভাবে একটা দীর্ঘকালীন কবে শেষ হবে, তার নেই ঠিক, একটা চিরকালীন রক্ষাকবচ দেওয়া যায় না। যার বলে বলীয়ান হয়ে, বিরোধী দলনেতা বহু প্ররোচনামূলক কথা বলেছেন। কুৎসা করেছেন। আপত্তিকর কাজ করেছেন। কিন্তু কিছু করা যায়নি আইনে।'
অন্যদিকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, '৯ অগাস্ট একটা আইন অমান্য় আন্দোলনে আমার বিরুদ্ধে পার্কস্ট্রিট থানায় মামলা হয়েছিল। সেটা হচ্ছে শ্লীলতাহানির। আর, অভিযোগকারী একজন পুরুষ। অতএব, মামলা যে কেউ করতে পারে। যে কোনও ধারায়। যে কোনও লোক এখন শুরু করুক এইসব ধরনের মামলা। FIR করতে থাকুক। দেরি করবেন না।'






















