Howrah News: আগস্টের পর ফেব্রুয়ারি, তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিহতের বাড়িতে সিবিআই-র তিন সদস্যের দল
Tapan Dutta Murder:তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে এল সিবিআই-র তিন সদস্যের একটি দল। বালির ওই তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশ তদন্তভার নিয়েছিল সিবিআই।
ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডের (Tapan Dutta Murder) তদন্তে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে এল সিবিআই-র তিন সদস্যের একটি দল (CBI Team) । বালির ওই তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ তদন্তভার নিয়েছিল সিবিআই। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম নিহত নেতার বাড়ি এসেছিলেন। তার পর, গত কাল।
যা জানা গেল...
২০১১ সালের ৬ মে বালি থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রেল ক্রসিং-র সামনে দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তপন দত্ত। বালি থানার পক্ষ থেকে মামলা রুজু হয়। নিহতের পরিবারের তরফে, ওই নৃশংস হত্য়াকাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ওই বছরেরই ১৩ ই আগস্ট যে প্রথম চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে পাঁচ জনের নাম থাকলেও অন্যান্যদের নাম ছিল না। পরে, ২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাতে আরও দুজনের নাম যুক্ত করা হয়।
তার পর যা...
এরপর কেসটি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে তপনের স্ত্রী সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি বারবার আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতে থাকেন। অবশেষে গত বছর জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই -র হাতে তুলে দেন। তারপর আগস্টে তদন্তের কাজে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে বার প্রায় ঘণ্টাদেড়েক নিহত নেতার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তপনের স্ত্রী প্রতিমার কাছে ঘটনার দিন কী কী হয়েছিল জানতে চাওয়া হয়। সিবিআই আধিকারিকরা তখনই জানান যে তাঁরা এফআইআর করেছেন। তার পর সেই তদন্তের কাজে গত কাল অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের এলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁরা পৌঁছন। দীর্ঘক্ষণ ধরে নিহত নেতার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বছরই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশের পরও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু তার পর এই নিয়ে দুবার তাঁর বাড়িতে এল অনুসন্ধানকারী দল। দ্বিতীয় দফায় কী কথাবার্তা হয়েছে,সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু খুনের ১২ বছর পরও কেন কিনারা হল না হত্যাকাণ্ডের? প্রশ্ন উঠছেই?
আরও পড়ুন:নন্দিনী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের