Kuntal Ghosh : ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন কুন্তল, তারপরই তা উধাও ! দাবি CBI-র
Recruitment Scam : ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে চাকরিপ্রার্থীদের নাম আপলোড করে প্রতারণা করতেন কুন্তল? নাকি এটা পর্ষদের একাংশের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? উঠছে প্রশ্ন ?
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Recruitment Scam ) OMR শিট বিকৃতির অভিযোগ সামনে এসেছিল আগেই! অবার আরও চাঞ্চল্যকর দাবি জানাল সিবিআই ( CBI ) । পরতে পরতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন কুন্তল ( Kuntal Ghosh ) !
'প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হত'
আগে ইডি দাবি করেছিল , OMR শিটে গোপন সঙ্কেতের মাধ্যমে সংগঠিত হত গোটা দুর্নীতি! যার নেপথ্যে প্রত্যক্ষভাবে মানিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষের হাত ছিল! এবার সিবিআই আরও চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আনল। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, যার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত, তাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হত। টাকা নিয়ে পর্ষদের ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণ দেখানোর পরে উধাও হয়ে যেত সেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম।
ভুয়ো ওয়েবসাইট ?
কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ফেল করা চাকরিপ্রার্থীদের নাম আপলোড হত ? তবে কি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে চাকরিপ্রার্থীদের নাম আপলোড করে প্রতারণা করতেন কুন্তল? নাকি এটা পর্ষদের একাংশের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সিবিআই তদন্তে উঠে আসা ২০১৪-র টেটের ভুয়ো রেজাল্টের সেই কপি এসেছে এবিপি আনন্দের হাতে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরায় জানা গেছে, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত, তাদের ২টি প্রশ্ন এবং তার উত্তর আগে থেকেই বলে দেওয়া হত। বলা হত, OMR শিটে ওই ২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বাকি উত্তরপত্র ফাঁকা থাকবে।
যাতে পরে সেই OMR দেখলে, টাকা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। পরে সেই OMR শিটে, বসিয়ে দেওয়া হত উত্তর। নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ও কুন্তলের ভূমিকা বোঝাতে গিয়ে আদালতে শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথের প্রসঙ্গ তোলেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য ম্যাকবেথ আর কুন্তলের ভূমিকা ব্যাঙ্কোর মতো! যেভাবে মিলেমিশে তাঁরা এসব করেছেন, তাতে এটাই স্পষ্ট।
ইডির দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের যুগলবন্দিতেই আত্মসাৎ হয়েছে দুর্নীতির বিপুল টাকা! আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি অনুযায়ী, এই দুর্নীতির ত্রিভূজে যুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষও।