Cattle Scam: গরুপাচার মামলায় এনামুল হককে জেরা করতে দিল্লি পৌঁছল সিআইডি
CID on Enamul Haque: সিআইডি-র দাবি, গরুপাচারে মূল ষড়যন্ত্রী এনামুল হক। ইতিমধ্যেই এনামুল হককে জেরা করতে দিল্লি পৌঁছল সিআইডি।
কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) এনামুল হককে জেরা করতে দিল্লি পৌঁছল সিআইডি (CID)। আগামীকাল এনামুলকে জেরার সম্ভাবনা। সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর, বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি এনামুল। গরুপাচারে অভিযুক্ত এনামুলের তিন ভাগ্নেও। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিআইডি, ওই তিনজনই পলাতক। সিআইডি-র দাবি, গরুপাচারে মূল ষড়যন্ত্রী এনামুল হক। তাঁকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে করছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা (WB Police)।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের ( Cow Smuggling Case ) ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে এনামুল হক। ওই ব্যবসায়ীর প্রভাবশালী যোগ রয়েছে বলেও দাবি করে সিবিআই। অভিযুক্তকে ধরতে তৎপর ছিলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। অবশেষে দিল্লি থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে মানিকতলা সহ চার জায়গায় তল্লাশি চালাল চারটি দল। সিবিআইয়ের ২০ থেকে ২৫ জন অফিসার চারটি দলে ভাগ হয়ে চার জায়গায় তল্লাশি চালান। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারকাণ্ডের টাকা পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের হাতেও। গরু পাচার চক্রের বিপুল অঙ্কের টাকা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যাচ্ছে , এই আশঙ্কায় দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। ব্যবসায়ী এনামুল শেখ ছাড়াও, চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওঠে বিএসএফের কমান্ডান্ট পদমর্যাদার অফিসার সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। সল্টলেকের বাড়িতে ওই বিএসএফ অফিসারকে না পেয়ে, তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে আরও তথ্য মিলেছে। জানা গিয়েছে, গরুপাচারকাণ্ডের টাকা একাধিক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের কাছে।
আরও পড়ুন, নকলের বদলে আসল সোনার গয়না চুরি ! গ্রাহক সেজে পার পেল না 'চক্র'-র ১ মহিলা
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI ) তদন্তে উঠে এসেছে ইলামবাজারের গরু হাটের কথা। কোন কোন জায়গা থেকে এই হাটে গরু আসত? হাট থেকে কোন পথে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছোত? তারপর কাদের মদতে সেই গরু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যেত? এবিপি আনন্দর অন্তর্ততদন্তে তা নিয়ে উঠে আসে সম্প্রতি বিস্ফোরক তথ্য। গরু পাচার মামলায়, সিবিআইয়ের চার্জশিটে, ইলামবাজারের গরু-হাটের উল্লেখ রয়েছে। যা এই পাচারকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বলে অভিযোগ। হাজার হাজার গবাদি পশুর কেনাবেচা! একেক দিনে কোটি কোটি টাকার কারবার! আর যেখানে এত লাভের গুড়, সেখানে পিঁপড়ে আসবে না, তা কি হয়! ইলামবাজারের পশু-হাটেও তাই বেড়েছিল পিঁপড়ে থুড়ি দালালদের আনাগোনা! গরু পাচার মামলায়, সিবিআইয়ের শেষ সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যে আব্দুল লতিফের নাম রয়েছে, তিনিও পশু-হাটের এরকমই একজন দালাল বলেই খবর।