Mamata On Raniganj: 'জোশীমঠের মতো অবস্থা রানিগঞ্জের', উদ্বেগ জানিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
Concern For Soil Condition:'জোশীমঠের মতো অবস্থা রানিগঞ্জের। যে কোনও সময় ধসে গিয়ে প্রাণ হারাতে পারেন ২০ হাজার মানুষ', আশঙ্কা প্রকাশ করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আলিপুরদুয়ার: 'জোশীমঠের (Condition Of Joshimath) মতো অবস্থা রানিগঞ্জের (Raniganj)। যে কোনও সময় ধসে (landslide disaster) গিয়ে প্রাণ হারাতে পারেন ২০ হাজার মানুষ', আশঙ্কা প্রকাশ করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর ধারণা, এমন হলে অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। গোটাটার জন্যই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'গত ১০ বছর ধরে দরবার করেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ইসিএল জমি নিয়ে রেখেছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। পুনর্বাসনের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যাচ্ছে না।' তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে যতটুকু যা অর্থ ছিল তা দিয়ে কিছু বাড়ি বানিয়ে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্র অর্থ না দেবে, তত ক্ষণ কিছু পুনর্বাসন সম্ভব নয়। আর সেক্ষেত্রে সরু সুতোর উপর ঝুলবে রানিগঞ্জের বাসিন্দাদের ভাগ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'এখানেও আমার ধারণা সাধারণ মানুষের কোনও দোষ থাকবে না। যদি কোনও বিপর্যয় হয়, সরকারকেই তার দায় নিতে হবে।'
বিজেপির প্রতিক্রিয়া...
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, 'জোশীমঠে কেন বিপর্যয় হয়েছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ বলছেন, বেআইনি নির্মাণের কারণেও এটি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এখনও টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েনি।' তবে রানিগঞ্জ-সহ এলাকায় অবৈধ খনন ও তার সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে যে তদন্ত চলছে, সে কথা মনে করিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির এই নেতা। তাঁর কথায়, 'এই অবৈধ খননই খনি অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। আর তার জন্য পুরো দায়ভারই নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।' প্রসঙ্গত, ভয়ঙ্কর ভূমিধসের জেরে হালেই কার্যত ধ্বংসস্তূপের রূপ নিয়েছিল জোশীমঠ। প্রাণহানি আটকাতে কাতারে কাতারে বাসিন্দাদের ভিটেমাটি থেকে সরিয়ে আনতে হয়। বহু নির্মাণ ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। গত ১৩ জানুয়ারি ইসরোর রিপোর্টে উঠে আসে যে শেষ ১২ দিনে আরও ৫.৪ সেন্টিমিটার মাটি বসে গিয়েছে জোশীমঠে। থাকার অযোগ্য় বলে ঘোষণা করা হয় ওই এলাকাকে। সাতশোরও বেশি বাড়িতে ফাটল ধরে। কিন্তু কেন হল এমন পরিস্থিতি? কেন ফাটল দেখা দিল এভাবে? কেন বসে যেতে লাগল পবিত্রভূম?
উত্তর খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন:ভেবেছিলেন দেবকে ভয় দেখাবেন', প্রজাপতি বিতর্কে ফের বিস্ফোরক মিঠুন, মুখ খুললেন দেবও






















