Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান
High Court: জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমান।সপ্তাহের তিনদিন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ। তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ধর্ষণ এবং প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাইদুর রহমানকে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে কংগ্রস ও বামেরা।
উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতার গ্রেফতার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি। অধীর চৌধুরী ও সাগরদিঘি উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাগরদিঘি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা। গতকাল প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুুলিশ। যদিও অধীর চৌধুরীর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনের সামিল হবে বলে জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে। কংগ্রেসের তরফে দ্রুত জামিনের আর্জি জানানো হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হয়।
উপ নির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতেই এই গ্রেফতার, আদালতে দাবি কংগ্রেসের আইনজীবীর। এদিন, ধৃত কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের বাড়িতে যান হাওড়ার আমতার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান।
১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না? উপ নির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল?
গত শুক্রবার রাতে, প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে সাগরদিঘির প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুুলিশ। ঘটনায় সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, বারংবার নোটিস দেওয়ার পরেও সরকারি আইনজীবী ও সাগরদিঘি থানার পুলিশ আদালতে হাজির হয়নি।
কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সওয়াল করেন, এসপিকে অভিযোগ জানাতে গেলেও তিনি গ্রহণ করেননি। ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই।
প্রাথমিক তদন্ত করার আগেই কেন গ্রেফতার করা হল, তারও ব্যাখ্যা নেই। রাজনৈতিকভাবে কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে এই গ্রেফতার বলে দাবি করেন তিনি। এরপর বিচারপতি বলেন, আদালত পুলিশকে আর একবার সুযোগ দিচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় কেস ডাইরি নিয়ে ওসিকে আদালতে হাজির হতে হবে।
এ দিন, ধৃত কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের বাড়িতে যান হাওড়ার আমতার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ফল জানা যাবে ২ মার্চ।