Cooch Behar : কোচবিহারের দিনহাটাতে সিপিএমের বুক স্টলে হামলা, এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
CPM : পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির নিন্দায় মুখ খুলেছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক।

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা : কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের (Kamaleshwar Mukherjee) গ্রেফতারি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই চড়ছে। একদিকে সোশাল মিডিয়ায় সরব অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সুর চড়াচ্ছে সিপিএম নেতৃত্বও। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদল। এর মাঝেই কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটায় সিপিএমের বুক স্টলে হামলা চালানোর ও এক সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
কমলেশ্বরের গ্রেফতারি ঘিরে জারি তরজা
সিপিএমের বইয়ের স্টলে হামলা, এবং তার প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ঘিরে, পুজোর কলকাতায় রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদ চড়ছে। রবিবার রাসবিহারীতে বামেদের একটি বইয়ের স্টলে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে সোমবার সেখানেই বামেদের কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। গ্রেফতার করা হয় পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে। আটক করা হয় বিকাশ ভট্টাচার্যকেও। রাতেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও রাজনৈতিক তরজা থামেনি।
পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির নিন্দায় মুখ খুলেছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক। সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চুর্নী গঙ্গোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, ঋদ্ধি সেনরা।
কোচবিহারেও একই ঘটনা
কলকাতায় এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই, কোচবিহারের দিনহাটাতেও একই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে তৃণমূল কর্মীরা নৃপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি পাঠাগারের সামনে সিপিএমের বুক স্টলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করার অভিযোগও ওঠে। কোচবিহারের সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেছেন, 'ভিড় বেড়েছে বলে, ভয় পেয়ে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল'। এদিকে, দিনহাটার তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশু ধর বলেছেন, 'অত সময় নেই। পুজো নিয়ে ব্যস্ত তৃণমূল। মাটি ফিরে পেতে মিথ্যে অভিযোগ করছে সিপিএম'। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কমলেশ্বরের
লালবাজার থেকে বেরিয়ে এবিপি আনন্দকে কমলেশ্বর বলেন, 'গতকাল (রবিবার) রাসবিহারীতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী সিপিএমের বইয়ের স্টল ভেঙে দেয় ও কমরেডদের মারধর করে। আজ সেই ঘটনার প্রতিবাদেই রাসবিহারীতে শ্রী চৈতন্য লাইব্রেরীর সামনে আমাদের একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচারের জন্য একটি অটোও রাখা হয়েছিল। সেই সময়ে তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমাদের দিকে ছুটে আসে ও আক্রমণ করে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। গোটা ঘটনাই ঘটায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর, ওই অঞ্চলে জমায়েত করা যাবে না এই অভিযোগে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যেকে আক্রমণের হাত থেকে যাঁরা যাঁরা বাঁচাতে গিয়েছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া ও কন্ঠরোধ করার চেষ্টা এটা। গ্রেফতারির কোনও কারণ স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পুলিশ। কেবল বলা হয়েছে, মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, তাই জমায়েত করা যাবে না'






















