Cooch Behar News: তোর্সার স্রোতে ভাঙল রাস্তা ! হু হু করে ঢুকছে জল গ্রামে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন..
Cooch Behar Tufanganj flood situation : তোর্সা নদীর জল বেড়ে ভাঙল বাধ, হু হু করে ঢুকছে জল গ্রামে..
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তোর্সার জলের স্রোতে ভাঙল রাস্তা, হু হু করে গ্রামে ঢুকছে জল । প্লাবিত বহু বাড়ি। বিছিন্ন দুটি গ্রাম ।আতঙ্ক শোলাডাঙ্গা চর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তুফানগঞ্জ এক ব্লকের বলরামপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাডাঙ্গা চর এলাকার তন্ত্রীপাড়া ও পশ্চিমপাড়া এলাকায় জলের তোরে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দুটি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তোর্সা নদীর জল বাড়ায় পারবাধ ভেঙে গিয়ে গ্রামে ঢুকছে। জলমগ্ন একের পর এক বাড়ি।
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলোচ্ছ্বাস। তার উপর রাম্বি ও কালিঝোরা ড্যাম থেকে জল ছাড়ার ফলে বাড়তি বিপত্তি। জলমগ্ন হয়ে পড়ে তিস্তা বাজার এলাকা।তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় ফুলে ফেঁপে ওঠে নদী। টানা বৃষ্টির জেরে তোর্সাতেও জল বাড়ার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। সেই আশঙ্কাই এবার সত্যি হল। প্রসঙ্গত, পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোচবিহারের নদীগুলি। মাথাভাঙার মানসাই নদীতে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তোর্সা নদীতেও বাড়ছে জল। জল বাড়ছে তুফানগঞ্জে রায়ডাক ও সঙ্কোশ নদীতে।
তিস্তার জল ঢুকে প্লাবিত জলপাইগুড়ির মালবাজারের টোটগাঁও গ্রাম। ৫০টিরও বেশি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই তিস্তারজলে ভাসছে গ্রাম। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, বাড়ি-ঘর, নদীর গ্রাসে চলে যাচ্ছে। স্থায়ী বাঁধের দাবি বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, সমতলেও বৃষ্টি হচ্ছে। জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন।
আরও পড়ুন, 'শোভনকে মেয়র করতে চান মমতা..', দাবি শুভেন্দুর, কী প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ ও রত্নার ?
এদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় থাকছে কমলা সতর্কতা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।মূলত গত কয়েকধরেই একটা বৃষ্টি হয়ে চলেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে। ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তিস্তা, জলঢাকা-সহ একাধিক নদীতে জলস্তর বাড়তে পারে। গতবছর ৩ অক্টোবর, ভোররাতে প্রবল বৃষ্টিতে ফেটে যায় উত্তর সিকিমের দক্ষিণ লোনক লেক। হ্রদভাঙা সেই বিপর্যয়ে প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল!সর্বগ্রাসী তিস্তা তছনছ করে দিয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাকে। সিকিমের দুর্যোগে তাই এবারও সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।