Cooch Behar News : আর্থিক সমস্যায় রুগ্ন দল, কোচবিহারে পার্টি অফিসের একাংশ পলিক্লিনিককে ভাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের
Forward Block News : কোচবিহারে জেলা পার্টি অফিসের একাংশ ভাড়া দিল ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিকল্প আয়ের জন্য একটি পলিক্লিনিককে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন উদয়ন গুহ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কমেছে সাংগঠনিক শক্তি, কমেছে অর্থবল। এবার ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Block) পার্টি অফিস (Party Office) হতে চলেছে পলিক্লিনিক (Polyclinic Centre)! লক্ষ্য, বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। দৈনন্দিন খরচ চালাতে না পেরে, কোচবিহারের (Cooch Behar) জেলা পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক।
পার্টি অফিসে পলিক্লিনিক
দলীয় সূত্রে খবর, মাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকায় পার্টি অফিসের একাংশ ভাড়া দেওয়া হবে। দোতলা ভবনের একতলার পুরোটাই হবে পলিক্লিনিক।দোতলায় হবে পার্টি অফিসের কাজকর্ম। আর এনিয়েই কটাক্ষ করেছে একদা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক তথা বর্তমানে দিনহাটার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক উদয়ন গুহ। কোচবিহার জেলাজুড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের ১২৮টি অঞ্চলে পার্টি অফিস ছিল। তার মধ্যে মাত্র কয়েকটি টিমটিম করে জ্বলছে।
রাজনৈতিক তরজা
পার্টি অফিসের একাংশ পলিক্লিনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহারের জেলা সম্পাদক অক্ষয় ঠাকুর বলেছেন, 'আমাদের আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা নেই, চাঁদা দিয়ে পার্টি চলে, এখন চলছে না, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভাড়া দেওয়ার'। যা নিয়ে খোঁচা দিয়ে একদা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক তথা বর্তমানে দিনহাটার বিধায়ক তথা ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি উদয়ন গুহ বলেছেন, 'আমি যখন দলে ছিলাম তখন অ্যাকাউন্টে ভাল টাকা ছিল। তা কোথায় গেল? আমি থাকলে এমন হত না, এটা হল ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনা।'
ফরওয়ার্ড ব্লকের পার্টি অফিস ভাড়া নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপিও! কোচবিহারে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেছেন, 'এটা তৃণমূলের কাছেও সঙ্কেত, তারা যদি না শোধরায় তাহলে তাদেরও এই অবস্থা হবে।' পাল্টা কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, 'বিজেপি আগে নিজের কথা ভাবুক, বিজেপি একটা অফিস বানাচ্ছে, ওটাও ভাড়া দিতে হবে।'
বামেদের আগেও পার্টি অফিস ভাড়া
শুধু ফরওয়ার্ড ব্লকই নয়, পার্টি অফিস ভাড়া দিয়েছিল সিপিএমও। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় ব্যবসায়িক কাজে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল দলীয় অফিস। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি পার্টি অফিসের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিপিএম ও সিপিআই।