Cooch Behar News: এনসিসির প্রশিক্ষণ নিতে এসে ছাত্রীর আচমকা মৃত্যু
মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে, বিপাশা রায় নামে ওই ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আলিপুরদুয়ারের দত্ত পাড়ায় তার বাড়ি। এদিন আলিপুরদুয়ার থেকে মাথাভাঙা কলেজে সে এনসিসির প্রশিক্ষণ নিতে আসে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মাথাভাঙা: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে মাথাভাঙা কলেজে এনসিসির (NCC) প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিল দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। এনসিসির প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েই আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সন্ধের পরই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে, বিপাশা রায় নামে ওই ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আলিপুরদুয়ারের দত্ত পাড়ায় তার বাড়ি। এদিন আলিপুরদুয়ার থেকে মাথাভাঙা কলেজে সে এনসিসির প্রশিক্ষণ নিতে আসে। প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানান হয়েছে যে, সকাল ৯টা নাগাদ মাথাভাঙা কলেজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। কিন্তু অসুস্থ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি কলেজের পক্ষ থেকে। দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিতসায় ছিল সে। পরিবারের সদস্যরা কলেজে আসলে, তাঁরাই অসুস্থ ছাত্রীকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। আনুমানিক রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় তার। বিপাশা রায়ের পরিবারের সদস্যরা আরও অভিযোগ তুলেছেন, সকাল ৯টা নাগাদ কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়লেও কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় ছাত্রীর। পরিবারের সদস্যরা ৫টা নাগাদ কলেজে আসার পর ভর্তি করেন হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, যদি তৎক্ষণাৎ ভর্তি করানো হত তাহলে হয়তো মেয়েকে আজকে তাঁরা জীবিত পেতেন। হয়তো এভাবে মেয়েকে হারাতে হত না। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা
আরও পড়ুন - WB Election 2021: ভোটের মুখে মাথাভাঙা ও শীতলকুচিতে অস্ত্র উদ্ধার, বাকযুদ্ধে বিজেপি-তৃণমূল
এই প্রসঙ্গে মাথাভাঙ্গা কলেজের টিচার ইনচার্জ ডা: সুলগ্না দত্ত বলেন 'এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। মেয়েটি বাড়ি থেকে কলেজে আসার পরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে কী কারণে মারা গেল এনসিসি বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জানা গিয়েছে, এনসিসির দায়িত্বে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। কী কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং কেন দীর্ঘক্ষণ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, সে সম্পর্কে জানার এবং অবিযোগ জানানোর জন্য পুলিশের কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।