(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Cooch Behar : প্রকাশ্য সভায় দলের নেতাকে বহিষ্কারের হুমকি বিধায়কের, কোচবিহারে অব্যাহত তৃণমূলের বিবাদ
TMC : ই নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের। কোন্দলেই শেষ হবে তৃণমূল, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এখন দেখার দলীয় কোন্দল সামাল দিতে কী পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারে (Coochbehar) তৃণমূলের বিবাদ অব্যাহত। প্রকাশ্য সভা থেকে দলেরই এক নেতাকে বহিষ্কারের হুমকি দিলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। পাল্টা বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ। দুই নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের। কোন্দলেই শেষ হবে তৃণমূল, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এখন দেখার দলীয় কোন্দল সামাল দিতে কী পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রকাশ্যে বহিষ্কারের হুমকি
দলীয় নেতা ও প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান আবু আল আজাদকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি। দলের নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্কে জড়ালেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ। সূত্রের খবর, গত বিধানসভা ভোটে সিতাই থেকে জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে প্রার্থী করা হলে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ। এবার ওই তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিলেন বিধায়ক।
তরজা চরমে
সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক মঞ্চ থেকেই বলেন, 'আমি ওইসব আবু আল আজাদের কথা বলব না। কারণ সে দলের কোনও স্তরে এখন নেই। সে তৃণমূলের একজন বুথেরও সদস্য নয়। এরপরে যদি উনি আবার তৃণমূলের নেতৃত্ব সম্পর্কে, বিধায়ক সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন, আমরা দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে দেব।' যদিও বিধায়কের বহিষ্কার-হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতা। আবু আল আজাদ বলেছেন, 'জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াক এলাকায় বহু দুর্নীতি হচ্ছে। আমি তো সেটা নিয়ে এখনও মুখ খুলিনি। উনি কেন আমাকে ভয় পাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। দলের ভেতরে থেকে দলের যারা সর্বনাশ করছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে নাগরিক মঞ্চ গড়ে আন্দোলন করছি। '
কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেছেন, 'কী হয়েছে জানি না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।' পাল্টা কোচবিহারের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেছেন, 'তৃণমূল অন্তর্দ্বন্দ্ব শেষ হবে।'
জেলার ছবি
বর্তমানে কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনের মধ্যে সবকটিই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও এক ছবি। ১২টি আসনের মধ্যে ১২টিই তৃণমূলের দখলে। ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১২৭টি, একটি বিজেপির। যদিও ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে, কোচবিহারে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে? সবার নজর সেদিকেই।
আরও পড়ুন- তোলা না দেওয়ায় অপবাদ, সামাজিক বয়কট! সোনারপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ