Cooch Behar News : জঞ্জালের স্তুপে কোচবিহার, বৈঠকে পুর-কর্মীদের ধমক রবীন্দ্রনাথের
TMC : সূত্রের খবর, কোচবিহার পুরসভায় ৭০০-র কাছাকাছি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই সাফাইয়ের কাজ করেন।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : রাস্তার ধারে যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে জঞ্জালের (Waste) স্তুপ। দুর্গন্ধ, মশা, মাছির উপদ্রবে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা। কোচবিহার (Cooch Behar) শহরজুড়ে এমনই বেহাল পরস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন এভাবেই রাস্তার ওপর আবর্জনা পড়ে থাকে। তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ কানে আসতেই, পুরসভায় বৈঠক ডাকেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানেই অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের ধমক দেন তিনি।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, 'ড্রাইভার, ভ্যাট আর নির্মল সাথী তিনজনের কিন্তু পানিশমেন্ট হবে। একদম। এখন গর্ভনমেন্ট মাইনে দেবে না, পয়সা দেবে না।' যার পর সাফাই কর্মীদের কাছে কাজের খতিয়ান চান তিনি, জানতে চান কদিন করে কাজ করেন তারা। যে প্রশ্নের উত্তরে দুদিন কাজ করার কথা জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলের নেতার সংযোজন, দুদিনের কাজে ওয়ার্ড পরিষ্কার হয়।
সূত্রের খবর, কোচবিহার পুরসভায় ৭০০-র কাছাকাছি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই সাফাইয়ের কাজ করেন। তবুও ২০টি ওয়ার্ডেই যেখানে সেখানে আবর্জনা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্য, বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার পরও কাজ ঠিকমতো করছেন না অনেক সাফাই কর্মী। এদিকে, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কোচবিহার পুরসভার বাম কাউন্সিলর, 'আগে ময়লা পরিষ্কারের বড় গাড়ি ছিল, সেসব খারাপ হয়ে পড়ে আছে। এখন ছোট ভ্যান ব্যবহার করা হয়। এভাবে সম্ভব নয়। কোনও কাজই হচ্ছে না।'
কোচবিহার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেছেন, 'পুরসভা ব্যর্থ, ব্যর্থতা ঢাকতে সাফাই কর্মীদের ওপর দোষ দিচ্ছে'। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা চলছেই। আর এসবের মাঝে সমস্যায় পড়ছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন- হাঁসফাঁস গরমে লোডশেডিংয়ের ধাক্কা, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে চালু কন্ট্রোল রুম