Coochbeahar News: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে অপহরণ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর অভিযোগ
TMC Joining: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে অপহরণের পর জোর করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর অভিযোগ উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ: দলবদল ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে কোচবিহারের (Coochbeahar) তুফানগঞ্জে। সেখানে বিজেপির (BJP) একজন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে অপহরণ করে জোর করে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জের এক নম্বর ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আছে। শনিবার অন্দরান ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূল পার্টি অফিসে ওই পঞ্চায়েতের তিনজন বিজেপি সদস্যকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির আরও এক পঞ্চায়েত সদস্যা দীপালি পালের স্বামী ষষ্ঠী পাল। তাঁদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, দীপালি পালও খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলে যোগদান করবেন। দলবদলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা দীপালি পাল অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করে জোর করে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই যোগবিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা দীপালি পাল বলেন, "আমি সজ্ঞানে বলছি আমার স্বামীকে চারদিন আগে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছিল। তারপর গতকাল জোর করে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়। কিন্তু, আমি মরে গেলেও কোনওদিন তৃণমূল যোগ দেব না। আমি করজোড়ে অনুরোধ করছি আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।"
বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পর থেকে তাদের দখলে থাকা ২৪টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। ভয় দেখিয়ে তাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের ঘাসফুল শিবিরে যোগ দান করানো হয়েছে। বাকি পঞ্চায়েতগুলোও দখল করার চেষ্টা চলছে।
যদিও তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে দীপালি পালের স্বামী ষষ্ঠী পাল বলেন, "আমার ওপর কোনও জোর খাটানো হয়নি। আমি নিজের ইচ্ছাতে ও এলাকার উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।"
দীপালি পালের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতীম রায় বলেন, "আমাদের দলের এমন দুরবস্থা হয়নি যে কাউকে জোর করে যোগদান করানো হবে। আসলে লোকসভা ভোটের পর মানুষ বুঝতে পেরেছে যে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র মানুষের উন্নয়ন করতে পারে। তাই সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।