Coochbehar : কোচবিহারের পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূলের ১১ সদস্যের, কাল তলবি সভার সম্ভাবনা
কোচবিহারের হাঁড়িভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলেরই ১১ জন সদস্য।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারের হাঁড়িভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলেরই ১১ জন সদস্য। আগামীকাল তলবি সভা হওয়ার কথা। তার আগে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন প্রধানের বিরোধীরা। হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই অনাস্থা আনাকে মেনে নেওয়া হবে না।
কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব ফের সামনে এল। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত হাঁড়িভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূলেরই ১১ জন সদস্য। সোমবার তলবি সভা হওয়ার কথা।
হাঁড়িভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৯। তার মধ্যে তৃণমূলের ১৬, বাকি ৩ জন নির্দল। তৃণমূলের ১৬ জনের মধ্যে ১১ জন সদস্য পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা এনেছেন। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলের কোনও পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারবেন না তৃণমূল সদস্যরা।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ১৩ তারিখ যে তলবি সভা আছে, তা প্রতিহত করব। এটা হতে দেওয়া যাবে না।
তা সত্ত্বেও আস্থাভোটে অনড় ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, ওই তলবি সভায় যাতে যোগ দিতে না পারেন, তার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার হাঁড়িভাঙার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রমা রায় বলেন, আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি।.
কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, হুমকির অভিযোগ মিথ্যে। দলের সিদ্ধান্ত, কোনও দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। সেটাই মেনে চলতে হবে। যাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, তৃণমূলের টাকা নিয়ে গন্ডগোল নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওকড়াবাড়িতে হয়েছিল। এখন হাঁড়িভাঙায় হচ্ছে।
ক’দিন আগে দিনহাটার ওকড়াবাড়িতে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের ১২ জন সদস্য। তলবি সভার আগে তাঁদের বহিষ্কার করে দল। তা সত্ত্বেও আস্থাভোটে পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারিত করেন তাঁরা।
এ ক্ষেত্রে সোমবার জল কোন দিকে গড়ায়, তা দেখেই দলের জেলা নেতৃত্ব পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।