Coochbehar : কোচবিহারের হেরিটেজ কমিটিতে নাম নেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের ! সরব জেলার গেরুয়া শিবির
BJP MLA : কমিটি গঠনের সময় নির্বাচিতই হননি বিজেপি বিধায়ক, পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহার শহরের (Coochbehar) হেরিটেজ কমিটি (Heritage Committee)। তাতে নাম রয়েছে, তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। অথচ নেই, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে'র নাম। ফেসবুকে এনিয়ে সরব হয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কমিটি গঠনের সময় নির্বাচিতই হননি বিজেপি বিধায়ক, পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল।
শহরের আনাচে কানাচে ইতিহাস-
কোচবিহার শহর, তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের রাজত্বকালে ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেসের আদলে তৈরি হয়েছিল কোচবিহার রাজবাড়ি। শতাব্দী পেরিয়ে এখনও তা সদর্পে দাঁড়িয়ে। শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্থাপত্যে ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অনুরণন।
এবার এই শহরের হেরিটেজ কমিটি নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। কমিটিতে রয়েছেন- তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান। অথচ সেই কমিটিতে জায়গা হয়নি স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের। এখানেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
২০১৭ সালে কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো খড়গপুর IIT’র এক বিশেষজ্ঞ কমিটি, শহরের মোট ১৫৫টি স্থানকে পর্যবেক্ষণ করে হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করে। পরবর্তীকালে তৈরি হয়, কোচবিহার হেরিটেজ কমিটি। সেই কমিটিতে যেমন রয়েছেন- ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, গবেষকরা। তেমনই রয়েছেন- কোচবিহারের জেলাশাসক, পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা।
কমিটিতে রয়েছেন- তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু নাম নেই, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে'র । এনিয়ে ফেসবুকে সরব হন কোচবিহার জেলা বিজপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু।
তিনি লেখেন, এই দক্ষিণ কেন্দ্রেই কোচবিহার শহর অবস্থিত। শহরের মানুষ নিখিল রঞ্জন দে'কে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন গত বিধানসভায়। তাই হেরিটেজ কমিটিতে বিধায়কের না থাকা শহরের মানুষের রায়কে অসম্মান করা।
বিরাজ বসু দাবি জানান, সম্মান দিয়ে রাখতে হবে তাঁকে।
যদিও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। যখন কমিটি গঠন হয়, তখন তো নিখিলরঞ্জন দে এমএলএ-এ ছিলেন না। তখন তো তৃণমূলের জেলায় ৮টা বিধায়ক ছিল। কেউ তো কোনওদিন ছিল না। শুধু আমি ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ ছিলাম। মন্ত্রী ছিলাম বলে। এমএলএ বলেই যে থাকতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। ক্রাইটেরিয়া মেনেই কমিটি তৈরি হয়েছে।
কমিটির সদস্য নিয়ে তরজা চলছে। এরইমধ্যে কমিটির নেতৃত্বে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। রাজবাড়ির পাশাপাশি, নতুন করে সাজানো হচ্ছে, সাগরদিঘি এবং বৈরাগী দিঘি।
আরও পড়ুন ; 'প্রয়োজনে তৃণমূলকে কোচবিহার দাওয়াই', হুঁশিয়ারি সুকান্তর; পাল্টা কী বলল শাসক দল ?