Coochbehar : "ছাত্র রাজনীতি করে উঠেছেন", প্রশংসা পেয়ে নিশীথকে তৃণমূলে ফেরার 'পরামর্শ' তৃণমূল জেলা সভাপতির
TMC-BJP Politics : শাসক-বিরোধীর রাজনৈতিক হিংসায় সাম্প্রতিক অতীতে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে কোচবিহার
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : "ছাত্র রাজনীতি করে উঠে এসেছেন নতুন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক"। কোচবিহার (Coochbehar) তৃণমূলের (TMC) নতুন জেলা সভাপতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সৌজন্যের রাজনীতির বার্তা নিশীথ প্রামাণিকের। পাল্টা তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক নিশীথের উদ্দেশে বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করে তৃণমূলে ফিরুন।"
বারবার শিরোনামে কোচবিহার-
শাসক-বিরোধীর রাজনৈতিক হিংসায় সাম্প্রতিক অতীতে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে কোচবিহার। এই আবহেই শনিবার কোচবিহারে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, বর্তমান জেলা তৃণমূল সভাপতির প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তবে, প্রাক্তন সভাপতিদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নিশীথ। বলেছেন, "আগের সভাপতিদের ঔদ্ধত্য অনেকেই জানে। কথাবার্তা ভাল নয়।"
কোচবিহার জেলায় এর আগে তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন যথাক্রমে পার্থপ্রতিম রায়, গিরীন বর্মন, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষরা। পরে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি করা হয় অভিজিৎ দে ভৌমিককে । উৎসবের এই মরসুমে তাঁরই প্রশংসা করেছেন নিশীথ প্রামাণিক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। এর পাল্টা জবাবে অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, আপনার যখন এতই বিশ্বাস আমার ওপর তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করে তৃণমূলে ফিরুন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ও গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে কোচবিহার গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। যদিও পঞ্চায়েতে ছবিটা আলাদা। কোচবিহার জেলার মোট ১২৮টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৭টিই রয়েছে তৃণমূলের দখলে ! বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কোচবিহারে গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে রাখতে জেলা তৃণমূলে সাংগঠনিক তৎপরতা তুঙ্গে।
প্রায় দু’মাস আগে কোচবিহার জেলা তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। পার্থপ্রতিম রায়কে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয়েছে অভিজিৎ দে ভৌমিককে। রদবদলের দু’মাস পর গত সেপ্টেম্বরে স্থায়ী জেলা পার্টি অফিস পেয়েছে কোচবিহার। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জেলা সভাপতি থাকাকালীন, কোচবিহারের মা ভবানী চৌপথীতে ছিল তৃণমূলের অস্থায়ী জেলা অফিস। বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জেলা সভাপতি হওয়ার পর, মা ভবানী চৌপথীর অফিসেই দলের কাজকর্ম সামলাতেন। এরপর সভাপতি হন পার্থপ্রতিম রায়। তিনি নিজের বাড়ি থেকেই দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন।গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের আমলে আবার গোলবাগান এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে তৈরি হয় জেলা সভাপতির অফিস। ১ অগাস্ট গোলবাগানে জেলা পার্টি অফিসের উদ্বোধন করেন পার্থপ্রতিম রায়। ঘটনাচক্রে সেদিনই জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। বন্ধ হয়ে যায় সেই অফিসও।
আরও পড়ুন ; 'আমি মুক্ত!' সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের পোস্টে জল্পনা, পদ না পেয়ে ‘পোস্ট’?