TMC Leader Murder: কেন কোচবিহারের যুব তৃণমূল নেতার চরম পরিণতি? বিস্ফোরক নিহতের বাবা
Coochbehar News: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে ও কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি অমর রায়কে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের ঘটনায় দলের একাংশের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নিহতের বাবা। দলের অনেকে পঞ্চায়েত প্রধানকে পছন্দ করতেন না বলে দাবি তাঁর। স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পরে দলেরই অনেক নেতা নেত্রীর কামাই বন্ধ হয়ে গেছিল বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে বলে প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।
শনিবার হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কোচবিহারের ডোডেয়ার হাটে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে ও কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি অমর রায়কে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কেন খুন করা হল যুব তৃণমূল নেতাকে? এই নিয়ে যখন তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা, তখন তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নিহতের বাবা। নিহত যুব তৃণমূল নেতার বাবা মহিম রায় বলেন, "কানে এসেছে আমার স্ত্রী যখন দাঁড়িয়েছে ভোটে অনেকের অরুচি ছিল আমার বৌকে যেন, সাধারণ মানুষ নয়, নেতাদের মধ্যে, দলের নেতাদের মধ্যে তারা পুরনো ছিল, তাদের মধ্যে...ইচ্ছে ছিল না যে, সে ভোটে দাঁড়াক। পুরনো নেতাদের মধ্যে কেউ প্রচারেও আসেনি, শত্রুতা আছেই,কে বড় হবে, কে ছোট হবে, আমি দায়িত্ব পেলে আপনি পাবেন না, এই রকম একটা তো ভাব আছেই।
শনিবার ফিল্মি কায়দায় খুন করা হয় করা কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতিকে। বাইকে করে ২ দুষ্কৃতী এসে তৃণমূলের যুব নেতাকে সামনে থেকে গুলি করে। প্রথমে তাঁর পায়ে গুলি লাগে, সেই অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখন মৃত্যু নিশ্চিত করে মাথায় গুলি করে অভিযুক্তরা। নৃশংস খুনের নেপথ্যে কী টাকা-পয়সার ভাগ বাটোয়ারা? নিহতের বাবার বক্তব্যে সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। নিহত যুব তৃণমূল নেতার বাবা বলেন, "ডাওয়াগুড়ি অঞ্চল যে আছে, অঞ্চলে যদি আমাদের কোনও নেতা-নেত্রীরা গন্ডগোল করে, কোনও যদি খাওয়াদাওয়ার ধান্দা করে, আমরা এটার বিরোধী ছিলাম পুরোপুরি। আমরা এটা করতে দিইনি কাউকে। আমাদের জন্য কারও কামাই হচ্ছে না, এটাও হতে পারে।''
কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ির বাসিন্দা ছিলেন অমর রায়। তাঁর নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে এদিন এলাকায় বন্ধের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। স্থানীয় ডাওয়াগুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান নিহত যুব তৃণমূল নেতার মা কুন্তলা রায়। রবিবার তাঁদের বাড়িতে যান কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া-সহ একাধিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত প্রধান ও নিহত যুব তৃণমূল নেতার মা কুন্তলা রায় বলেন, "আমার ছেলে, আমি প্রশাসনের লোক, আমি যদি, এর কঠোর শাস্তি না হয়, সুষ্ঠু বিচার না পাই, আমি কিন্তু কাউকে ছাড়ব না।'' তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, "সবগুলো দিকের উপরে পুলিশ নজর রেখেছে, সেইদিকে পুলিশের তদন্ত এগোবে, যেই আসুক, দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে, প্রকৃত দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেই থাক।''






















