Coromandel Express Derailed : লাশের সারি উদ্ধার জারি, হাওড়ায় ফিরল দুর্ঘটনাগ্রস্থ বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেস
Train Accident : সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, দেশলাই বাক্সের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে কামরাগুলি।
হাওড়া : মৃত্যুপুরী বালেশ্বরে (Baleshwar) এখনও উদ্ধার হয়ে চলেছে একের পর এক লাশ। উদ্ধারকাজ জারি থাকার মাঝে সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Derailed) ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৫০ জন। এর মাঝেই যে ট্রেনে ধাক্কা লেগে ঘটেছে ভয়াবহতম এই দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেস শেষমেশ ফিরে এল হাওড়ায়। যে ট্রেনে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী অল্প-বিস্তর আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁদের।
শুক্রবার সন্ধেয় বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজারের কাছে প্রথমে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেস (Bengaluru-Howrah Yashwantapur Express)। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝে লাইনচ্যুত ২ কামরাতেই এসে সজোরে ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Shalimar-Chennai Coromandel Express)। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরে পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওপরে গিয়ে ছিটকে পড়ে করমণ্ডলের কামরাগুলি।
যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে গিয়ে ধাক্কা মারার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডলের ইঞ্জিন ছিটকে গিয়ে উঠে যায় পাশের মালগাড়িতে। আর করমণ্ডলের ধাক্কা লেগেছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যে দুটি লাইনচ্যুত কামরায় সেগুলি ছিটকে গিয়ে পাশে। রেললাইন থেকে প্রায় শখানেক মিটার দূরে নয়নাজুলির মতো একটি জায়গায় গিয়ে ছিটকে পড়েছিল যশবন্তপুরের কামরাগুলি। পাশাপাশি মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, দেশলাই বাক্সের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে কামরাগুলি।
কিন্তু, কীভাবে একই ট্র্যাকে ঢুকে পড়ল দুটি ট্রেন ? সিগন্যালিং ব্যবস্থার সমস্যার কারণেই জেরেই কি ট্র্যাক বদলাতে পারেনি করমণ্ডল এক্সপ্রেস ? না কি চালকের গাফিলতি ? যদি তা নাও হয়, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী করে ? রেল সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। দুর্ঘটনার মুহূর্তে মাত্র ২৩ সেকেন্ডে করমণ্ডল গতিশূন্য হয়ে পড়ে। সেই সময় ৪ নম্বর ট্র্যাক দিয়ে আসছিল হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে তার গতিবেগ কমতে থাকে।
আরও পড়ুন- মৃত্যুমিছিলে ভয়াবহতম দুর্ঘটনা, তবে ৪৬-এর করমণ্ডল এর আগেও একাধিক বার দুর্ঘটনার কবলে
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে রেল যেমন উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করবে, তেমনই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি স্বাধীনভাবে এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: আমের পরে ঠান্ডাপানীয় খেলে সত্যিই বিপদ? না কি শুধুই রটনা?